close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে পুলিশকে গুলি, আহত ৩

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মুন্সীগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতি, পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে পুলিশের উপর গুলিবর্ষণ! তিন পুলিশ আহত, রিভলবার-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য পুরো এলাকাজুড়ে।..

মুন্সীগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার ঠিক পরেই পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে ঘটে গেল অবিশ্বাস্য এক ঘটনা। শিক্ষার্থীরা যখন পরীক্ষার পর শান্তভাবে বাড়ি ফিরছিল, ঠিক তখনই শুরু হয় তাণ্ডব। রামপাল কলেজের গেটের সামনে ঘটে সংঘর্ষ, যার রেশ গিয়ে পৌঁছায় গুলিবর্ষণ পর্যন্ত।

রোববার (২৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে রামপাল কলেজের সামনে প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এক রোমহর্ষক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের চোখের সামনে এক যুবক কোমর থেকে রিভলবার বের করে গুলি ছোড়ে পুলিশের দিকে। তিন রাউন্ড গুলির পরও সাহসী পদক্ষেপে পুলিশ ওই যুবককে ঘটনাস্থলেই আটক করে।

গ্রেফতার হওয়া যুবক সাব্বির হোসেন দীপু (২৯), যিনি টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ছটফটিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং হাজী আবুল কালাম তালুকদারের ছেলে। পুলিশ জানায়, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ঢাকা মেট্রো গ-১৩-৭২০৮। ধাক্কাধাক্কির পর যুবকটি আচমকাই উত্তেজিত হয়ে অস্ত্র বের করে পুলিশের উপর গুলি চালায়।

হাতিমারা তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিক্রিয়া দেখান। অভিযুক্তকে কাবু করতে গিয়ে ধস্তাধস্তির সময় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন — এএসআই এমদাদ হোসেন, কনস্টেবল রবিউল ও কনস্টেবল সাজেদুল।

সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে স্থানীয় জনগণ ও ছাত্ররা এগিয়ে এসে সহায়তা করে যুবককে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে। তবে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তের দুই সহযোগী — মুকুল (৩৩) ও শাহাদাত হোসেন (৩৪) পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদেরও দ্রুত গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

পরে যুবকের গাড়ি ও দেহ তল্লাশি করে পুলিশ ১টি রিভলবার, দুই রাউন্ড গুলি, তিন রাউন্ড গুলির খোসা এবং চাঞ্চল্যকরভাবে ৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এই ঘটনায় এলাকায় তৈরি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা ও নিরাপত্তা সংশয়।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “এই যুবকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আগামীকাল তাকে আদালতে পাঠানো হবে।” তিনি আরও জানান, পুলিশের ওপর হামলা, মাদক বহন ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে এই যুবককে কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে।

ঘটনার পর থেকে রামপাল কলেজ ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে—কীভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তার মধ্যে এমন সহিংসতা ঘটল? এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি উঠেছে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে।

এই ঘটনায় আবারও প্রশ্ন উঠেছে—পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা কোথায়? রাস্তায় গাড়ি ধাক্কা থেকে শুরু হয়ে রিভলবার ও গুলির মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় কীভাবে পৌঁছে গেল? প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গোটা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا