close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকে অনেকেরই গা জ্বলতেছে: শামা ওবায়েদ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
লন্ডনে তারেক রহমান ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আলোচিত বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন ও প্রতিক্রিয়া ছড়ালেও, বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ স্পষ্ট জানিয়েছেন—এই বৈঠক স্বাভাবিক ও সময়োপযোগী। ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত ..

লন্ডনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একান্ত বৈঠককে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই এই বৈঠককে ঘিরে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তবে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন—এই বৈঠক নিয়ে "অনেকের গা জ্বললেও", দেশের ভবিষ্যত, সংস্কার এবং গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করা একটি স্বাভাবিক ও অত্যাবশ্যক ঘটনা।

শনিবার বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে দলীয় আদর্শ, ইতিহাস এবং আগামীর বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের এই বৈঠক কিছু মহলের অস্বস্তির কারণ হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—কেন এমন একটি বৈঠক হলো লন্ডনে? কিন্তু আমি বলতে চাই, দেশে সংস্কার, গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তাহলে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধানের সঙ্গে তিনি বসবেন না, এটা কি স্বাভাবিক?”

আদর্শিক ভিত্তি ও দলের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে শামা ওবায়েদ আরও বলেন,
“শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ১৯ দফা রূপরেখা, বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ উপস্থাপন করেছিলেন, এবং আজ তারেক রহমান ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। এই ধারাবাহিকতা প্রমাণ করে যে, জাতীয়তাবাদী দলের হাত ধরেই বাংলাদেশে যে কোনো ইতিবাচক সংস্কার এসেছে এবং ভবিষ্যতেও আসবে।

“একটি উন্নয়নশীল ও মর্যাদাসম্পন্ন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জাতীয় ঐক্য ছাড়া কোনো পথ নেই। আমরা সব দলের, সব মতের, সব ধর্ম-বর্ণের মানুষকে নিয়ে এই দেশ গড়তে চাই। তারেক রহমান নিজেই বলছেন—আগামীতে যদি জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়া হবে—যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ফরিদপুরের আওতাধীন পাঁচটি জেলার বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। সভাটি ছিল মূলত নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং পুরাতন সদস্যপদ নবায়নের অংশ হিসেবে আয়োজিত। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সভা দলের অভ্যন্তরীণ শক্তি পুনর্গঠনের পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে দলের অবস্থান পুনর্নির্ধারণের একটি বার্তাও বহন করছে।

দেশের চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে বিএনপি এখন বিভিন্ন কৌশলগত পথ অনুসরণ করছে। এই বৈঠক এবং শামা ওবায়েদের বক্তব্য প্রমাণ করে, বিএনপি এখন নিজেদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চাচ্ছে। বিশেষ করে ড. ইউনূসের মতো একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন দলের ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক চিত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।

No comments found