রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার ঘূর্ণাবর্তে এবার আলোচনার কেন্দ্রে আসছে ইসলামপন্থী দলগুলো। আগামীকাল রবিবার (২৫ মে), বিকাল পৌনে ছয়টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
এই বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে সরকারপ্রধানের সরকারি বাসভবন "যমুনা"-তে। সেখানে ইসলামপন্থী ও জাতীয়তাবাদী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বেশ কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, গণঅধিকার পরিষদ, নেজামে ইসলাম পার্টি এবং হেফাজতে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন এবং দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকের মূল এজেন্ডা। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক জটিলতা এবং সংঘাতময় পরিস্থিতিতে এই বৈঠককে বিশ্লেষকরা দেখছেন "টার্নিং পয়েন্ট" হিসেবে। বিশেষ করে যখন দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে, তখন ইসলামপন্থী রাজনৈতিক শক্তির এই পদক্ষেপ আগামী রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
চরমোনাই পীর সাহেব এর আগেও গণতন্ত্র, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে তার ভূমিকা ও বক্তব্য সবসময়ই আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এবারও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিরসনে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ পরিস্থিতিকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৈঠক শুধু আলোচনা নয়, বরং আগামী নির্বাচনী রূপরেখা নির্ধারণে ইসলামপন্থী দলগুলোর পক্ষ থেকে একটি 'অল্টারনেটিভ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম' গঠনের সূচনাবিন্দু হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।
আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হতে পারে:
- 
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের কাঠামো ও করণীয় 
- 
যারা স্বৈরতান্ত্রিক পন্থায় দেশের ক্ষতি করেছে, তাদের বিচারের প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা 
- 
ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের আলোকে নতুন রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণ 
- 
জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান 
বৈঠকের ফলাফল কী হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা-কল্পনা দেখা দিয়েছে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—এই বৈঠক ইসলামপন্থী রাজনৈতিক শক্তির সক্রিয় অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতের রাজনীতিতে দৃশ্যপট পাল্টে দিতে পারে।
এদিকে সাধারণ জনগণের মাঝেও আগ্রহ বেড়েছে এই আলোচনাকে ঘিরে। দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষদের মাঝে আশাবাদ জেগেছে যে, হয়তো এই সংলাপের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে যা নির্বাচনকে সহিংসতা ছাড়া একটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় পরিণত করবে।
শেষ কথা: চরমোনাই পীর ও অন্যান্য ইসলামপন্থী নেতাদের এই বৈঠক শুধু আনুষ্ঠানিক সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়—এটি হতে পারে একটি ইতিহাস-গঠনকারী রাজনৈতিক পদক্ষেপ।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			