পিলখানা বিডিআর হত্যাকাণ্ড: তদন্ত কমিশনের ডাক পেলেন শেখ হাসিনাসহ ১৫ জন
পিলখানায় ২০০৯ সালের ভয়াবহ বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন মোড়! জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধানসহ ১৫ জনকে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তলব করেছে।
শনিবার (৮ মার্চ) কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো ব্যক্তিদের আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে অথবা অনলাইনে সাক্ষ্য দিতে হবে।
যাদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে:
কমিশনের তালিকায় রয়েছেন—
শেখ হাসিনা (সাবেক প্রধানমন্ত্রী)
মেজর জেনারেল তারেক আহমেদ সিদ্দিক (অব.) (প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা)
জেনারেল আজিজ আহমেদ (অব.) (সাবেক সেনাপ্রধান)
ফজলে নূর তাপস (ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র)
শেখ সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, বাহাউদ্দিন নাছিম (সাবেক সংসদ সদস্য)
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ শামসুল আলম (অব.) (বিডিআরের ৪৪ ব্যাটালিয়নের তৎকালীন অধিনায়ক)
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর (অব.) (সাবেক ডিজিএফআই প্রধান)
জেনারেল মঈন উ আহমেদ (অব.) (সাবেক সেনাপ্রধান)
হাসান মাহমুদ খন্দকার (সাবেক র্যাব প্রধান)
আব্দুল কাহার আকন্দ, নূর মোহাম্মদ, মনিরুল ইসলাম (সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা)
সাক্ষ্যগ্রহণ বাধ্যতামূলক!
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাক্ষ্য প্রদান জরুরি হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিতে পারবেন।
৩১ মার্চের মধ্যেই সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করতে হবে।
সাক্ষ্য দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সাত দিনের মধ্যে তাদের প্রস্তাবিত সময়সূচি ফোন, ই-মেইল বা চিঠির মাধ্যমে কমিশনকে জানাতে হবে।
আইন লঙ্ঘন হলে কী হবে?
কমিশন কড়া সতর্কতা দিয়ে বলেছে, কেউ সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি: তথ্য চাওয়া হয়েছে!
কমিশন ইতোমধ্যেই ৫ মার্চ একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে—
ঘটনার সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে।
ঘটনার সহযোগী, আলামত ধ্বংসকারী ও অপরাধ সংঘটনকারীদের শনাক্ত করা হবে।
দায়ী ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তথ্য কোথায় পাঠানো যাবে?
ওয়েবসাইট: bdr-commission.org
ই-মেইল: commission@bdr-commission.org
ডাকযোগ/সরাসরি উপস্থিত হয়ে তথ্য দেওয়া যাবে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: এক নজরে ভয়াবহ ট্র্যাজেডি
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের মাত্র ৪৯ দিনের মাথায়, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।
৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নৃশংসভাবে নিহত হন।
ঘটনার পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত রয়েছে বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে।
এখন জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন পুনরায় সত্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছে। দেখা যাক, নতুন এই তদন্ত থেকে কী তথ্য বেরিয়ে আসে!
তথ্য পাঠানোর শেষ সময়: ৩১ মার্চ ২০২৫
তাজা আপডেটের জন্য চোখ রাখুন আমাদের নিউজ পোর্টালে