close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

পদ্মা সেতু দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্র মামলার পুনঃতদন্ত: নতুন করে উন্মোচিত হতে যাচ্ছে কী?

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পদ্মা সেতু দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্র মামলার পুনঃতদন্তের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে থাকা নভোথিয়েটার দুর্নী
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পদ্মা সেতু দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্র মামলার পুনঃতদন্তের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে থাকা নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ পুনরায় খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। দুদক জানিয়েছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় পুনরায় অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পদ্মা সেতু দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্র মামলা এবং নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলা। এর পাশাপাশি, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশ-বিদেশের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও বিভিন্ন সংস্থার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম মূলত রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালিত হচ্ছে। তবে তদন্তের পরিধি দেশব্যাপী এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিস্তৃত হতে পারে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এর আগে, গত ১৮ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়। পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা একটি আলোচিত ও বিতর্কিত ইস্যু, যা দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন তুলে আসছে। পুনঃতদন্তের মূল কারণ হলো, পুরনো অভিযোগগুলোতে নতুন তথ্য ও দালিলিক প্রমাণ অনুসন্ধান করে সঠিক সত্য উদঘাটন। পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বহুল চর্চিত একটি মামলা। বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার পেছনে ‘ষড়যন্ত্র’ ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ উঠে আসে। যদিও আদালতে কোনো প্রমাণিত রায় আসেনি, বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছে। দুদকের এই পুনঃতদন্তের উদ্যোগ থেকে একটি বড় প্রশ্ন উঠে আসে—এই অনুসন্ধান কতটা স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হবে? শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিশেষ করে দেশের বাইরের লেনদেন, অফশোর ব্যাংক হিসাব, এবং সম্পদের প্রকৃত উৎস নিয়ে জনগণের জানার অধিকার রয়েছে। পুনঃতদন্ত থেকে যে তথ্যগুলো বেরিয়ে আসবে, তা শুধু শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নয়, দেশের গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। তদন্ত সঠিক পথে পরিচালিত হলে, এটি দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। তবে, অন্যদিকে এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বা পক্ষপাতিত্বমূলক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচিত হলে তা জনমনে হতাশা সৃষ্টি করতে পারে। দুদকের এই পুনঃতদন্ত দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় একটি বড় দৃষ্টান্ত হতে পারে। তবে এটি কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করছে তদন্তের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের ওপর। এই অনুসন্ধান দেশের দুর্নীতি প্রতিরোধে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে নাকি পুরনো বিতর্কগুলোকে আবার সামনে নিয়ে আসবে—তা সময়ই বলে দেবে।
Không có bình luận nào được tìm thấy


News Card Generator