পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশই হলো বাংলাদেশ

আব্দুল্লাহ আল মামুন avatar   
আব্দুল্লাহ আল মামুন
শেষ পাঁচ ওভারে রানের চাকাটা ধীর হয়ে পড়েছিল। তবু স্কোরবোর্ডে ১৯৬ রান আশ্বাস দিচ্ছিল কিছুটা, হোয়াইটওয়াশটা এড়ানো গেলেও যেতে পারে। সেটা হলে আঁধার ঘেরা পথের শেষে আলোর দেখাও মিলতে পারত। ..

কিন্তু তা আর হলো কই? মোহাম্মদ হারিসের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির কাছেই তো হার মানতে হলো। পাকিস্তান বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ১৯৭ রানের লক্ষ্য টপকে গেল ৭ উইকেট আর ১৬ বল হাতে রেখে। তাতে হোয়াইটওয়াশ হয়েই সিরিজটা শেষ করতে হলো বাংলাদেশকে।

অথচ বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হয়েছিল দুর্দান্তভাবে। ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন প্রথম উইকেটে গড়েন ১১০ রানের জুটি। তানজিদ করেন ৩২ বলে ৪২ রান, আর পারভেজ খেলেন ৩৪ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস, যেখানে ছিল ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা। এরপর লিটন দাস ১৮ বলে ২২, তাওহিদ হৃদয় ১৮ বলে ২৫, শামীম হোসেন ৬ রান এবং জাকের আলী ৯ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। 

ইনিংসের ৫ ওভার বাকি থাকতেই বাংলাদেশ ১৫০ ছুঁয়ে ফেলেছিল। তবে শেষ দিকে রানরেট ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পাঁচ ওভারে রান উঠেছে মোটে ৪৬টি। ফলে ২০০ ছোঁয়া হয়নি বাংলাদেশের। তবে যা হয়েছে, তাতেও রেকর্ড হয়ে গিয়েছিল। ২০১২ সালে পাল্লেকেলেতে করা ১৭৫ ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ রান। সেটাকে দুইয়ে ঠেলে দিয়ে বাংলাদেশ আজ তোলে ১৯৬ রান।

বড় পুঁজি নিয়ে পাকিস্তানকে ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা দেয় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে মাত্র ১ রানে সাহিবজাদা ফারহানকে ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর সাইম আইয়ুব ও মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। দুজন মিলে ৫৩ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। সাইম ২৯ বলে ৪৫ রান করে আউট হলেও হারিস ছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে। মাত্র ৪৬ বলে করেন ১০৭ রান, যেখানে ছিল ৮টি চার ও ৭টি ছক্কা। এটাই তার আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তার এই ইনিংসেই মূলত জয় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের।

বাংলাদেশের পক্ষে মিরাজ দুটি ও তানজিম সাকিব একটি উইকেট নেন। তবে বোলারদের সামগ্রিক পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। যার ফলে রেকর্ড পুঁজি নিয়েও হতাশাই সঙ্গী হয় বাংলাদেশের।

Hiçbir yorum bulunamadı


News Card Generator