close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

পাকিস্তানের ঘাঁ'টিতে ভারতের আঘাত, ব্যবহৃত হয় স্ক্যাল্প ও হ্যা'মার মি/সাইল....

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পহেলগামে নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের ওপর হামলার পাল্টা জবাব দিল ভারত। ভোররাতে চুপিসারে চালানো অপারেশন ‘সিঁদুর’-এ পাকিস্তানের অভ্যন্তর ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ ও লস্করের প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে বর্ষিত হয় রাফাল থ..

পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অভ্যন্তরে থাকা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর গোপন ঘাঁটিতে ভারতের বিস্ফোরক জবাব—‘অপারেশন সিঁদুর’। মঙ্গলবার ভোররাতে রাফাল ও মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানের সাহায্যে চালানো এই হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, এই আঘাত ছিল পরিকল্পিত, অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও টার্গেট-কেন্দ্রিক।

 হামলার পটভূমি:

মাত্র কয়েকদিন আগেই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান একাধিক নিরীহ ভারতীয়। এরই প্রতিশোধ নিতে প্রতিরক্ষা বাহিনী ছায়ার মতো নিখুঁত ও নিঃশব্দ অপারেশন চালায়, যার নাম—‘অপারেশন সিঁদুর’। নামটিই যেন এক প্রতীক—রক্তে লেখা প্রতিশোধ।

 কীভাবে চালানো হয় হামলা?

সূত্র জানায়, সোমবার দিবাগত রাত ৩টা নাগাদ আকাশে উড়ে যায় একাধিক রাফাল ও মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান। টার্গেট ছিল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া, মুজাফফরাবাদ ও বালোচিস্তানের পাহাড়ি অঞ্চল—যেখানে গোপনে গড়ে তোলা হয়েছিল জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বার প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, অস্ত্রাগার ও আশ্রয় কেন্দ্র।
এই অভিযানে ব্যবহার হয় দুইটি বিধ্বংসী অস্ত্র:

  • স্ক্যাল্প মিসাইল:
    দূরপাল্লার এই ফরাসি মিসাইল একাধিক লক্ষ্যবস্তুকে একযোগে ধ্বংস করতে সক্ষম। এটি ৫০০ কিলোমিটার দূরের সুনির্দিষ্ট টার্গেটে আঘাত হানে নিখুঁতভাবে।

  • হ্যামার মিসাইল:
    এই স্মার্ট বোমা মূলত বাংকার ও শক্তপোক্ত ঘাঁটি ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়। প্রতি বোমার ওজন প্রায় ২৫০ কেজি, যা একটি সম্পূর্ণ ঘাঁটি উড়িয়ে দিতে যথেষ্ট।

 কী ধ্বংস হলো?

প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, হামলায় কমপক্ষে নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এসব ঘাঁটি থেকে সন্ত্রাসী তৈরি করা, অস্ত্র জড়ো করা এবং ভারতে অনুপ্রবেশের ছক তৈরি হচ্ছিল।
সুনির্দিষ্ট স্যাটেলাইট ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই হামলা চালানো হয়।

 ভারতের প্রতিক্রিয়া:

এক শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার ভাষায়,

“ভারতের বিরুদ্ধে কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা আর ছাড় পাবে না। অপারেশন সিঁদুর আমাদের প্রতিশোধ নেওয়ার সামর্থ্য ও সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ।”

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এই হামলা ‘প্রতিরোধমূলক এবং আত্মরক্ষামূলক’ ছিল। ভারতের ভূখণ্ড ও নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।

 পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া:

পাকিস্তান এই বিমান হামলাকে সরাসরি ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে উল্লেখ করেছে এবং পাল্টা প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে। ইসলামাবাদ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়,

“এই হামলার জবাব উপযুক্ত সময়ে দেওয়া হবে।”

তবে ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এই অপারেশন সীমিত পরিসরের এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসের জন্য পরিচালিত হয়েছে, যার লক্ষ্য কখনোই বেসামরিক এলাকা নয়।

 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই পক্ষকেই সংযম বজায় রাখতে এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে—এই হামলা দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাতে রূপ নিতে পারে কি না, সে নিয়ে।


 

‘অপারেশন সিঁদুর’ ভারতের তরফে একটি স্পষ্ট বার্তা: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আর কোনও ছাড় নয়। রাফালের গর্জন, স্ক্যাল্প ও হ্যামারের বজ্রপাত যেন বলে দিল, ভারতের প্রতিরক্ষা নীতিতে এখন আর শুধুই প্রতিরক্ষা নেই—আছে আক্রমণের দুঃসাহসও।

No se encontraron comentarios