পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনাবাহিনীর দুটি পৃথক অভিযানে ১৫ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে, তবে সংঘর্ষে চার সেনা শহিদ হয়েছেন। দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
ডেরা ইসমাইল খানে ৯ সন্ত্রাসী নিহত
আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে জানানো হয়, ডেরা ইসমাইল খান জেলার হাথালা এলাকায় গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান (আইবিও) চালানো হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়, পাল্টা অভিযানে ৯ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
মিরান শাহে আরও ৬ সন্ত্রাসী নিহত
অন্যদিকে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মিরান শাহ এলাকায় সেনাবাহিনীর আরেকটি অভিযানে আরও ৬ সন্ত্রাসী নিহত হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, নিহত সন্ত্রাসীরা ওই এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধি
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে গেছে। এই অভিযান সন্ত্রাসবিরোধী ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
২০২৫ সালে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে ৪২ শতাংশ
পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (পিআইসিএসএস) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ৪২% বৃদ্ধি পেয়েছে।
জঙ্গি হামলা রেকর্ড: ৭৪টি
মোট নিহত: ৯১ জন
৩৫ জন নিরাপত্তা কর্মী
২০ জন বেসামরিক নাগরিক
৩৬ জন জঙ্গি
আহত: ১১৭ জন
নিরাপত্তা হুমকির মুখে পাকিস্তান!
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী তৎপরতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেনাবাহিনীর এই অভিযানগুলোর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আপনার মতামত কী? পাকিস্তানে বাড়তে থাকা সন্ত্রাসী হামলা দমনে আরও কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত? কমেন্টে জানান!
कोई टिप्पणी नहीं मिली



















