close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

পাকিস্তানে সেনা অভিযানে ১২ ‘ভারতীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী’ নিহত..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ভারতীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পেয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। তীব্র সংঘর্ষে ১২ সন্ত্রাসী নিহত হলেও প্রাণ হা..

সীমান্তে উত্তেজনা ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্যের দাবি পাকিস্তানের। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পৃথক দুটি অভিযানে অন্তত ১২ জন ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযানগুলো দেশটির খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে পরিচালিত হয়। সংঘর্ষে শহীদ হয়েছেন চারজন সেনাসদস্য, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন তরুণ লেফটেন্যান্ট।

শুক্রবার (৩০ মে) জিও নিউজের বরাতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২৮ ও ২৯ মে রাতভর এই অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা আইএসপিআরের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এই অভিযানগুলো ছিল পূর্ব-পরিকল্পিত এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত।”

বেলুচিস্তানের লোরালাই জেলায় “ফিতনা আল হিন্দুস্তান” নামে পরিচিত একটি ভারতীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর সেনাবাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। এতে তীব্র গোলাগুলির পর নিহত হয় চারজন সন্ত্রাসী। অভিযান চলাকালীন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য।

আইএসপিআর দাবি করেছে, এই সন্ত্রাসীরা এর আগে ২০২৪ সালের ২৬ আগস্ট এবং ২০২৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩০ জন নিরীহ নাগরিককে হত্যা করেছিল, যেগুলো সংঘটিত হয় ন্যাশনাল হাইওয়ে-৭০ রুটে।

এর পাশাপাশি, বেলুচিস্তানের কেচ জেলায় পরিচালিত আরেকটি অভিযানে নিহত হয় আরও একজন ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী।

এদিকে, খাইবার পাখতুনখাওয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তানের শাওয়াল এলাকায় চেকপোস্টে হামলার চেষ্টা চালায় “ফিতনা আল খোয়ারিজ” নামক আরেকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তবে সেনাবাহিনীর তড়িৎ প্রতিক্রিয়ায় ওই হামলা প্রতিহত করা হয় এবং ছয়জন সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

এই অভিযানে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে সম্মুখভাগে শহীদ হন লেফটেন্যান্ট দানিয়াল ইসমাইল (২৪)। তাঁর সঙ্গে প্রাণ হারান তিনজন সাহসী সেনাসদস্য: নায়েব সুবেদার কাশিফ রেজা (৪১), ল্যান্স নায়েক ফিয়াকত আলি (৩৫) এবং সৈনিক মোহাম্মদ হামিদ (২৬)।

এছাড়া চিত্রাল জেলাতেও একটি সফল অভিযান পরিচালিত হয়, যেখানে আরও একজন ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে আইএসপিআর জানায়।

আইএসপিআর এক বিবৃতিতে বলেছে:

“এই আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করে তোলে। পাকিস্তান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। হামলার পেছনের কারিগর ও তাদের মদতদাতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান পুনঃক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাকিস্তানে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে প্রায়শই চালানো হচ্ছে এমন হামলা।

তবে ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও, সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষগুলো প্রমাণ করছে—পাকিস্তান এখনও বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকির মুখোমুখি রয়েছে।

コメントがありません