close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

পাকিস্তানে ভারতের হা মলা ‘দুঃখজনক’ : চীন

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পাকিস্তানে ভারতের সামরিক হামলা ঘিরে উপমহাদেশে যুদ্ধাবস্থা! চীন বলছে, এটি দুঃখজনক এবং বিপজ্জনক প্রবণতা। নিহত ৮, আহত ৩৬, পাল্টা হামলায় ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের!..

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি! চীনের কড়া বার্তা: “উদ্বিগ্ন ও দুঃখজনক”

উপমহাদেশ আবারো জ্বলছে নতুন উত্তেজনায়। বুধবার (৭ মে) ভোরে পাকিস্তানে ভারতের আচমকা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৮ জন বেসামরিক নাগরিক এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৩৬ জন। এই রক্তক্ষয়ী ঘটনার জেরে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে। আর ঠিক এই মুহূর্তে চীন জানিয়েছে, তারা ভারতের এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ এবং ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে দেখছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এক বিবৃতিতে জানান, “আমরা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভারত ও পাকিস্তান—উভয় দেশকেই শান্ত থাকার আহ্বান জানাই। তারা যেন সংযম দেখায় এবং এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।”

কূটনৈতিক তৎপরতা: যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা

ঘটনার জেরে কূটনৈতিক তৎপরতাও শুরু হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফোনে কথা বলেছেন ভারতের ও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, “উভয় দেশ যেন নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ চালু রাখে এবং অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা এড়িয়ে চলে।”

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সহিংসতা কোনও সমাধান নয়। শান্তিপূর্ণভাবে উত্তেজনা কমানোর জন্য আমেরিকা তাদের সর্বাত্মক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাবে।”

পাল্টা প্রতিশোধ: ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত, সেনা আটক?

ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তানও নীরব থাকেনি। ইসলামাবাদ দাবি করেছে, তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং কয়েকজন ভারতীয় সেনাকে যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটক করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বলেছেন, “যদি ভারত তাদের আগ্রাসী মনোভাব থেকে সরে আসে, তাহলে আমরা আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি। কিন্তু যদি তারা আগ্রাসী আচরণ চালিয়ে যায়, তাহলে আমরা কঠোর জবাব দিতে বাধ্য হব।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই না সংঘাত আরও তীব্র হোক। কিন্তু ভারত যদি শত্রুতা চালিয়ে যায়, তাহলে আত্মরক্ষার অধিকার আমাদের আছে।”

হামলা, প্রতিহামলা ও ধ্বংস

এই সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে মূলত ২২ এপ্রিল, যখন জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করে। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে এই হামলার জন্য দায়ী করে। এরপর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে, যার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে মঙ্গলবার রাত ও বুধবার ভোরে।

পাকিস্তানের সামরিক সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১২টার পর ভারত পাকিস্তানের ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর মধ্যে রয়েছে সেনা ছাউনি, স্টোরেজ ইউনিট ও বিমানঘাঁটি। জবাবে পাকিস্তান ভারতের ব্রিগেড সদরদপ্তরে হামলা চালায় এবং মালওয়া অঞ্চলে ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ফেলে।

 আঞ্চলিক অস্থিরতা: পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরণের সামরিক উত্তেজনা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে তা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে। পারমাণবিক শক্তিধর দুটি দেশের এমন সংঘর্ষ গোটা বিশ্বকেই উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

চীনের মতো পরাশক্তির উদ্বেগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা ইঙ্গিত দিচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই দ্বন্দ্ব নিরসনে সক্রিয় হতে যাচ্ছে। তবে বড় প্রশ্ন এখন—ভারত ও পাকিস্তান কী সংযম দেখাবে, নাকি এক ভয়ংকর যুদ্ধের দিকে এগোবে উপমহাদেশ?

没有找到评论