close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

পাক-ভারত সাম্প্রতিক সংঘাত: ‘ভারত এই পরাজয় ভুলতে পারবে না’ — শেহবাজ শরিফ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সাম্প্রতিক সংঘাতে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ দাবি করে ভারতের হৃদয়ে চিরস্থায়ী ক্ষত তৈরি করার ঘোষণা দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সেনাপ্রধানকে ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি দিয়ে দিলেন কড়া বার্তা।..

ভারতের বিরুদ্ধে 'ঐতিহাসিক বিজয়': শেহবাজের মুখে যুদ্ধজয়ের গল্প, আসিম মুনির হলেন ফিল্ড মার্শাল

দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী—ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা নতুন রূপ নিচ্ছে। এই উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সাম্প্রতিক বক্তব্যে সরাসরি ভারতের দিকে ছোড়া হলো এক বিস্ফোরক মন্তব্য:

“ভারত এমন এক পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে, যা তারা কখনো ভুলতে পারবে না।”

ইসলামাবাদে আয়োজিত একটি বিশেষ সামরিক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। এই অনুষ্ঠানেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে সর্বোচ্চ সামরিক উপাধি ‘ফিল্ড মার্শাল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রেসিডেন্ট নিজ হাতে ব্যাটন হস্তান্তরের মাধ্যমে এই পদোন্নতি কার্যকর করেন।


পাকিস্তানের ইতিহাসে গর্বের দিন: শেহবাজ

অনুষ্ঠানে আবেগঘন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন,

“আজকের দিনটি পাকিস্তানের সামরিক ইতিহাসে একটি গর্বময় অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে। আমাদের সাহসী সেনারা এমন একটি বিজয় এনে দিয়েছে, যেখানে অহংকারে ভরা শত্রুপক্ষ নিজেদের ফাঁদে নিজেরাই আটকে পড়েছে।”

শেহবাজ শরিফ সেনাবাহিনীর সাহসিকতা ও দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমাদের বিজয় প্রমাণ করেছে, প্রচলিত যুদ্ধে আমরা কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা শক্তি অতীতের তুলনায় এখন আরও সুসংহত ও দৃঢ়।”


ভারতের বিরুদ্ধে বিজয়ের বার্তা দিলেন জারদারি

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন,

“ভারতের উসকানিমূলক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা জাতির জন্য গর্বের বিষয়। আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা যে সাহস দেখিয়েছে, তা অনন্য।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এই পদোন্নতি শুধু একটি ব্যক্তিগত সম্মান নয়, বরং এটি আমাদের সামরিক নীতির ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশ করে।”


আজাদ কাশ্মির থেকে নতুন ঘোষণা

অন্যদিকে আজাদ কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে শহীদ সেনাদের পরিবারের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন,

“পাকিস্তান কখনোই প্রচলিত যুদ্ধে পিছিয়ে নেই—এই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, একদিন কাশ্মির পাকিস্তানের অংশ হবেই।”

তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর হাতে ক্ষতিপূরণ চেক তুলে দিয়ে বলেন,

“আমাদের সাহস, ঐক্য ও ঈমানই আমাদের শক্তি। এই শক্তিই ভবিষ্যতের উন্নয়ন ও বিজয়ের পথ দেখাবে।”


কূটনৈতিক মহলে উত্তেজনা, ভারতের পক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই

পাকিস্তানের এই ধরণের প্রকাশ্য বিজয় উদ্‌যাপন এবং ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি ভাষাগত আক্রমণকে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল নজরে রেখেছে। এখনো পর্যন্ত ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ মন্তব্যে ভারতের রাজনৈতিক মহলে জোর আলোড়ন উঠতে পারে।


 

শেহবাজ শরিফের বক্তব্য ও আসিম মুনিরের পদোন্নতিকে কেন্দ্র করে যে বার্তা পাকিস্তান দিচ্ছে, তা শুধু অভ্যন্তরীণ আত্মবিশ্বাস নয়, বরং একটি কৌশলগত বার্তাও বহন করে—যা ভারতীয় নেতৃত্বের কানে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট। বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যে আবারও এক অনিশ্চয়তার দোলাচলে উপমহাদেশকে ঠেলে দিয়েছে

No comments found