ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ের অন্যতম পরিচিত মুখ এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর নেই। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি কেবল ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্রই ছিলেন না, বরং গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জাতীয় নাগরিক কমিটির একজন প্রভাবশালী সদস্য এবং ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও আলোচনায় ছিলেন।
ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ অত্যন্ত আবেগঘন ভাষায় তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। এর আগে তার অসুস্থতার সময় তিনি ‘আল্লাহ আমার ভাই ওসমান হাদিকে বাঁচাইয়া রাখো’ বলে দোয়া করেছিলেন। হাদির এই অকাল প্রয়াণকে বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের এই নেতার মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকেও এই অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। দলের মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওসমান হাদির মৃত্যুতে এনসিপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা গভীরভাবে শোকাহত। বিজ্ঞপ্তিতে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলা হয়, তিনি ছিলেন এক নির্ভীক সহযোদ্ধা। তার এই প্রস্থান দেশের জন্য এক বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি করল। মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।



















