অসহায় ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে নতুন আশা জাগাল সরকার। মাধ্যমিক স্তরের (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) প্রতিবন্ধী, এতিম, ভূমিহীন, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার অসচ্ছল সন্তানদের জন্য শুরু হয়েছে বিশেষ ভর্তি সহায়তা কর্মসূচি।
সরকারের 'শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট' নামক একটি প্রতিষ্ঠান এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে, যার মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি নিশ্চিত করতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইট (https://www.eservice.pmeat.gov.bd/admission) থেকে জানা গেছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে যেসব শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ও সমমানের শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে অথবা বর্তমানে অধ্যয়নরত, তারাই এই সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারবে।
কে কে এই সহায়তা পাবে?
এই ভর্তি সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় অগ্রাধিকার পাবে—
-
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা
-
এতিম শিক্ষার্থীরা
-
ভূমিহীন পরিবারের সন্তানরা
-
নদীভাঙনপীড়িত পরিবার থেকে আগত শিক্ষার্থীরা
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে আগত শিক্ষার্থীরা
-
অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা
-
সার্বিকভাবে দুস্থ ও অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরা
এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো আর্থিক অক্ষমতার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীদের যেন শিক্ষা থেকে পিছিয়ে না পড়তে হয়।
কীভাবে আবেদন করবেন?
আবেদন করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন করার সময় শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ দাবির স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড করতে হবে।
যেমন—
-
প্রতিবন্ধী সনদ
-
এতিম প্রত্যয়নপত্র
-
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রমাণপত্র
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা নদীভাঙন সংক্রান্ত সার্টিফিকেট
-
স্থানীয় চেয়ারম্যান/ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যয়ন
ওয়েবসাইটে ভর্তি সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রত্যয়নপত্রের নির্ধারিত ফরম এবং পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনাও দেওয়া রয়েছে। এতে একজন শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবকও সহজেই আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ তারিখ:
এই সহায়তার জন্য আবেদনের শেষ তারিখ আগামী ২২ মে ২০২৫। এর পর আর কোনও আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই আগ্রহীদের দ্রুত আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শেষ কথা:
এই উদ্যোগ শুধুমাত্র একটি আর্থিক সহায়তা নয়, এটি একটি নতুন জীবন শুরু করার সম্ভাবনা। যারা প্রতিকূলতার মধ্যেও শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি হতে পারে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া এক সুযোগ। তাই বিলম্ব না করে এখনই আবেদন করুন এবং ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যান সাহস ও আস্থায়।