অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা-তারেকসহ সব আসামি খালাস: আইনি লড়াইয়ের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক


জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় চমকপ্রদ রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার সব আসামিকেও খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণা
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। এই রায়কে কেন্দ্র করে আদালতে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
আইনি লড়াইয়ের বিশদ বিবরণ
খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এবং আরও কয়েকজন আইনজীবী। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
২০১৮ সালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। হাইকোর্ট সেই দণ্ড বৃদ্ধি করে খালেদা জিয়ার সাজা ১০ বছরে উন্নীত করে।তবে ২০২3 সালের নভেম্বরে আপিল বিভাগ এই রায় স্থগিত করেন এবং পুনরায় শুনানি শেষে বুধবার চূড়ান্ত রায় দেন, যেখানে সবাই খালাস পান।
আইনজীবীদের প্রতিক্রিয়া
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, “খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি অপরাধ করেননি এবং ক্ষমাও চাননি। এই রায় তার নির্দোষ প্রমাণ করেছে।এই রায় আইনি লড়াইয়ের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।
没有找到评论