অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’: যশোরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৯ জন গ্রেফতার..

Eng. Nurullah Al Mamun avatar   
Eng. Nurullah Al Mamun
মোঃ নুরুল্লাহ (অভয়নগর, যশোর) প্রতিনিধি : অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’-এর অংশ হিসেবে যশোরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপু..

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং ফ্যাসিবাদী তৎপরতা দমনের লক্ষ্যে দেশব্যাপী যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে যশোর জেলায় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত চালানো অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার রাতভর যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ছয়জনকে আটক করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা, কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ, এক ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।

ডিবির বিশেষ অভিযানে জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল গাজীকে কাজীপাড়া কাঠালতলা এলাকার নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়। পরে যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিলের ব্যানার তৈরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

একই রাতে ডিবির আরেকটি দল সার্কিট হাউজ এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শরীফ আব্দুল্লাহ আল মারুফ পিয়াল এবং তার ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ হিমেলকে আটক করে। এছাড়া সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রাম থেকে যুবলীগ নেতা আলী হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বোমা হামলার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একই মামলায় পুরাতন কসবা এলাকার জিল্লু ফরাজিকে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করা হয়।

এ ছাড়া ডিবির পৃথক অভিযানে যশোরের কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত এবং একাধিক মামলার আসামি স্টেডিয়ামপাড়ার অমিত হাসানকে আটক করা হয়। তাকে গত আগস্টে স্টেডিয়ামপাড়ায় সংঘটিত একটি চুরির মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

ডিবির এসআই অলোক কুমার দে’র নেতৃত্বে পরিচালিত আরেকটি অভিযানে চৌগাছা উপজেলার সলুয়া পূর্বপাড়া থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য উজ্জ্বল হোসেনকে আটক করা হয়। পরে যশোরে বিএনপির পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

গ্রেফতারকৃত সকলকে বিকেলে নাশকতা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ বিষয়ে যশোর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবুল বাশার বলেন,
“আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

Tidak ada komentar yang ditemukan


News Card Generator