close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

“অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা অশান্তি চায়, দায়িত্বহীন ভূমিকা নিয়ে দেশকে ঠেলছে সংঘাতের দিকে” — রিজভীর কঠোর হুঁশিয়ারি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নজরুল জন্মজয়ন্তীতে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যে নতুন রাজনৈতিক বার্তা— তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা নিরপেক্ষতার বদলে গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত। ফ্যাসিব..

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক কঠোর ও তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা চলমান সংকটকে ঘনীভূত করার চেষ্টা করছেন। তারা দায়িত্ব পালনের বদলে অন্য কোনো গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন, যা দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।”

এই বক্তব্য তিনি দিয়েছেন রবিবার, ২৫ মে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নজরুলের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর।

নিরপেক্ষতা না থাকলে জনগণ মানবে না:
রিজভী বলেন, “জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে নিরপেক্ষ আচরণ আশা করে। একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব তাদের নয়। যদি এমনটা হয়, জনগণ কখনই তা মেনে নেবে না।”

ফ্যাসিবাদ এখনও সক্রিয়:
তিনি অভিযোগ করেন, “ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও ঘাপটি মেরে বসে আছে। মনে রাখবেন, ইতিহাস সাক্ষী— ফ্যাসিবাদ যতই ছদ্মবেশে থাকুক, একদিন তা মুখোশ খুলেই বেরিয়ে আসে। তাই প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার সম্পন্ন করে অবিলম্বে নির্বাচন দিতে হবে।”

নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা:
রাজনৈতিক বক্তব্যের ফাঁকে রিজভী কবি নজরুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “কাজী নজরুল ইসলাম শুধু কবি ছিলেন না, তিনি ছিলেন জাতির প্রেরণা, সংগ্রামের প্রতীক। তার সাহিত্য, গান ও চিন্তাধারা যুগে যুগে আমাদের শক্তি জুগিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাই আন্দোলন হোক কিংবা বিগত ১৫ বছরের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ— নজরুলের কণ্ঠ আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। শত দমন-পীড়নের মধ্যেও তাঁর চেতনা আমাদের জাগ্রত রেখেছে। তিনি শৃঙ্খলমুক্তির বার্তা দিয়েছেন, ব্যক্তি ও জাতির জীবনে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।”

রাজনৈতিক সংকটের গভীরতা:
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘিরে রিজভীর বক্তব্য অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বিএনপি যেকোনো ধরনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে এবং জনগণের স্বার্থে তা প্রতিহত করবে।

বিএনপি নেতা আরও বলেন, “দেশের রাজনীতি এখন এমন এক মোড় নিয়েছে, যেখানে অন্তর্বর্তী সরকার ও তার উপদেষ্টাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কাজ হওয়া উচিত সব পক্ষের প্রতি সমান আচরণ নিশ্চিত করা, যাতে ভবিষ্যতের নির্বাচন গণতান্ত্রিক ও গ্রহণযোগ্য হয়।”


রিজভীর এই বক্তব্য শুধু নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রদত্ত একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া নয়, বরং এটি ছিল একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তিনি একইসাথে ইতিহাস, সংস্কৃতি ও রাজনীতিকে এক সূত্রে গেঁথে বর্তমান সংকট ও তার সমাধানের পথ দেখিয়েছেন।

রাজনীতির এই অস্থির সময়েই প্রশ্ন উঠে— অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা কী হবে? তারা কি সত্যিই নিরপেক্ষ থাকবে? না কি, রিজভীর আশঙ্কা বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে?

No comments found


News Card Generator