close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

অন্তর্বর্তী সরকার কিছু দলকে পো'ষ্য বানিয়েছে, বি'রো'ধী'দে'র মুখোমুখি ঠেলে দিয়েছে — ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কিছু রাজনৈতিক দলকে অলিখিতভাবে পোষ্য দলে রূপান্তর করেছে। অন্যদিকে সবচেয়ে শক্তিশালী বিরোধী ..

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এক জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক ভারসাম্য আনতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। বরং তারা কিছু রাজনৈতিক দলকে অলিখিতভাবে ‘পোষ্য দল’ হিসেবে গ্রহণ করেছে, যারা তাদের সিদ্ধান্তে নীরব সম্মতি দিচ্ছে। অন্যদিকে মূল বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে চেপে ধরার নীতি চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।

 “সরকার নিজেই নিজেকে ব্যর্থ করছে”

রুমিন বলেন, “এই সরকার যে দলটিকে সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে, সেই বিএনপির বিরুদ্ধে ১৭ বছরের নির্যাতন ও নিপীড়ন সত্ত্বেও যারা আওয়ামী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থেকেছে—তাদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। অথচ আমরা দেখেছি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রথম থেকেই এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো, সরকার যদি নিজেই নিজের পতনের দিকে ধাবিত হয়, বিএনপি কী করতে পারে?”

“৯ মাস পার, কিন্তু কোনো বাস্তব রোডম্যাপ নেই”

তিনি বলেন, “এই সরকার গঠনের সময় জনগণের বিশাল প্রত্যাশা ছিল। অনেকে আশা করেছিলেন আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ, গুম-খুনের নির্দেশদাতা নেতারা আইনের আওতায় আসবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা দেখছি, তারা সবাই নিরাপদে দেশ ছাড়ছে। অথচ আওয়ামী লীগের নিম্ন পর্যায়ের কর্মীদের ওপরই শাস্তির বোঝা চাপানো হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “৯ মাসে একটি কার্যকর নির্বাচনী রোডম্যাপ দিতেও ব্যর্থ হয়েছে সরকার। মানুষকে শুধু বলা হচ্ছে—‘ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যেকোনো সময় নির্বাচন হতে পারে।’ এভাবে পুরো দেশকে একটি ধোঁয়াশার মধ্যে রাখা হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই সরকারের নির্বাচনের কোনো ইচ্ছাই নেই।”

করিডর নিয়ে প্রশ্ন ও সার্বভৌমত্বের ঝুঁকি

ভারতের সঙ্গে করিডর ইস্যুতে সরকারের অবস্থান নিয়েও রুমিন তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “একটি অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাবদ্ধ ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, তারা কিভাবে এমন কৌশলগত ও সার্বভৌমত্বসম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে পারে? এটি সংবিধানেরও লঙ্ঘন।”

 “দ্বৈত নাগরিকত্বধারীদের হাতে দেশ কতটা নিরাপদ?”

সংবিধানের আলোকে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে, দ্বৈত নাগরিকত্বধারীরা এমপি বা মন্ত্রী হতে পারবেন না। অথচ এই অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক উপদেষ্টার দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। এটি সংবিধানের চরম লঙ্ঘন এবং এতে প্রশ্ন ওঠে—এই সরকারের হাতে দেশের নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত?”

Walang nakitang komento