close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
"অল্প সময়ের জন্য এলেও ফুটপ্রিন্ট রেখে যেতে চাই": অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, "আমরা সংস্কারের লক্ষ্যে এক-দেড় বছরের জন্য এসেছি। এই স্বল্প সময়ে দেশের উন্নয়নের জন্য এমন কিছু কাজ করে যেতে চাই, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শক হবে।"
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। সৌদি-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি: প্রবণতা, মূল চ্যালেঞ্জ এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনা-শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্য
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, "আমরা হয়তো স্বল্প সময়ের জন্য কাজ করছি, তবে এই সময়ের মধ্যে একটি মেঠোপথ তৈরি করে যাব, যা পরবর্তীতে অন্যরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।" তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতির জন্য বাণিজ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে অতীতে ভুল নীতির কারণে অনেক বিনিয়োগকারী দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।
তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, সৌদি আরবের আরামকো এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামসাং কোম্পানি। তিনি বলেন, "এগুলো ছিল ভুল নীতির ফলাফল। এখন আমাদের সেই ভুলগুলো সংশোধন করতে হবে।"
শেয়ার বাজারের বর্তমান অবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, "শেয়ার মার্কেটে অনেক কোম্পানি বিনিয়োগ করছে। কিন্তু কিছু কোম্পানি এমনও আছে, যাদের ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেলেও তাদের শেয়ারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এটা একটি অসামঞ্জস্যতা এবং এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।"
বিশেষ অতিথির মন্তব্য
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, "বিদেশে দক্ষ কর্মীর চাহিদা অনেক। কিন্তু আমাদের দেশে এমন দক্ষ কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণে উদ্যোগ নিতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "বর্তমানে দেশে বিনিয়োগের জন্য একটি ভালো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আশা করি সৌদি বিনিয়োগকারীরা এই পরিবেশে তাদের বিনিয়োগ বাড়াবে।"
অন্যান্য বক্তার বক্তব্য
অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মো. নজরুল ইসলাম, এবং পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ও সিইও এম মাসরুর রিয়াজ তাদের মতামত তুলে ধরেন।
পরিকল্পিত লক্ষ্য
পররাষ্ট্রসচিব রাষ্ট্রদূত এম জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা সৌদি-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানান।
এই আলোচনা সভা থেকে উঠে এসেছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গি। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
Ingen kommentarer fundet