close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ঐকমত্যের পথে তৃতীয় দফায় বিএনপি! পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে তৃতীয় দিনের মতো ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপি। আলোচনার মূল বিষয়—পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ, যা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে।..

জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো বৈঠকে বসেছে বিএনপি ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সকাল ১১টা ১০ মিনিটে সংসদের এলডি হলে এ বৈঠক শুরু হয়। মূল আলোচ্য বিষয়—পাঁচটি সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশের ওপর বিএনপির মতামত।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ও রবিবার এই বৈঠক শুরু হলেও তা স্থগিত করা হয়েছিল। আজকের আলোচনায় বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, সিনিয়র আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং সাবেক সচিব আবু মো. মনিরুজ্জামান খান।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এছাড়া কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আছেন—সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এই কমিশনগুলো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর সংস্কার তদারক করছে। এর মধ্যে পাঁচটি প্রধান কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনার জন্যই এই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এরপর থেকে কমিশন পর্যায়ক্রমে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। এখন পর্যন্ত ৩৪টি দল তাদের মতামত দিয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি দলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে বিএনপির সঙ্গে চলছে তৃতীয় দফার আলোচনা।

বিশেষ করে সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন—এই পাঁচ খাতের সংস্কার সুপারিশগুলোর ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতের জাতীয় ঐকমত্য গঠনের রূপরেখা নির্ধারণ করবে কমিশন।

এই আলোচনাগুলো দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন যুগের সূচনা করতে পারে, বিশেষ করে যখন সরকারবিহীন সময়ের সংকটে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

Nenhum comentário encontrado