close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

নতুন নোট: আসল-নকল চেনার উপায় কী?

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ছাড়ছে নতুন ডিজাইনের ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোট। এসব নোটে সংযোজন করা হয়েছে সর্বাধুনিক ২৬টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য। জানতে চান কীভাবে চেনা যাবে আসল আর নকল নোট? বিস্তারিত জানুন এখনই।..

নতুন নোট: আসল না নকল—চেনার সব গোপন কৌশল ফাঁস!

বাজারে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন ডিজাইন এবং উন্নত নিরাপত্তা প্রযুক্তিতে তৈরি ১০০০, ৫০ এবং ২০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট। নতুন সিরিজের এসব নোটে যুক্ত করা হয়েছে একাধিক দৃষ্টিনন্দন নকশা এবং আধুনিক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য, যা সহজেই আসল-নকল চেনার সুবিধা দেবে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও ব্যাংক কর্মীদের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এসব নোটে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষর রয়েছে এবং কাগজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে শতভাগ কটন পেপার। প্রতিটি নোটে রয়েছে জলছাপ, উন্নত নিরাপত্তা সুতা, ইউভি কালি, মাইক্রোপ্রিন্ট, অসমতল ছাপা এবং রঙ পরিবর্তনশীল কালি—যা এগুলোকে প্রায় জাল অযোগ্য করে তুলেছে।


১০০০ টাকার নতুন নোট: নজরকাড়া ডিজাইন ও ১৩টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য

নতুন ১০০০ টাকার নোটটি আকারে ১৬০ মিমি × ৭০ মিমি এবং এতে রয়েছে বেগুনি রঙের আধিক্য। সম্মুখভাগে বামদিকে রয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, মাঝখানে প্রতিশ্রুত বাক্য ও মূল্যমান এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে প্রস্ফুটিত শাপলার ছবি। ডান কোণে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে ‘৳১০০০’।

পেছনের দিকে রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি। এছাড়া ওপরের বাম ও ডান কোণে এবং নিচের দুই কোণে রয়েছে ‘১০০০’ ও ‘৳১০০০’ মূল্যমান।

নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে:

  • ৫ মিমি প্রশস্ত নিরাপত্তা সুতা: তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম ও ‘১০০০ টাকা’ খচিত, যা নাড়াচাড়া করলে রঙ লাল থেকে সবুজে রূপান্তরিত হয়।

  • রঙ পরিবর্তনশীল কালি: ডান কোণে থাকা ‘1000’ সংখ্যা ম্যাজেন্টা থেকে সবুজে রঙ বদলায়।

  • ইউভি ফ্লুরোসিন কালি: শাপলার ছবিতে ব্যবহার, যা UV ডিটেক্টরে দেখা যায়।

  • See-through image: গভর্নরের স্বাক্ষরের ডান পাশে স্বচ্ছ প্যাটার্নে লেখা ‘১০০০’ আলোর বিপরীতে ধরা দিলে দৃশ্যমান হয়।

  • মাইক্রোপ্রিন্টিং: BANGLADESH BANK লেখার নিচে ও পেছনে, যা শুধু ম্যাগনিফাইং গ্লাসে দৃশ্যমান।

  • অসমতল ছাপা ও লুকানো লেখা: দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে রয়েছে ৬টি বৃত্ত ও আড়াআড়ি ছয়টি লাইন।


৫০ টাকার নোট: ঐতিহ্য-নিরাপত্তার মিশ্রণে ৮টি বৈশিষ্ট্য

নতুন ৫০ টাকার নোটের আকার ১৩০ মিমি × ৬০ মিমি। রঙে রয়েছে গাঢ় বাদামির প্রাধান্য। বাম পাশে মুদ্রিত আহসান মঞ্জিলের ছবি ও মাঝখানে প্রতিশ্রুত বাক্যসহ ‘পঞ্চাশ টাকা’। পেছনের অংশে মুদ্রিত রয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘সংগ্রাম’।

নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য:

  • ২ মিমি প্রশস্ত নিরাপত্তা সুতা: যাতে ‘৫০ পঞ্চাশ টাকা’ খচিত রয়েছে।

  • See-through প্যাটার্ন: আলোতে ধরলে ‘৫০’ দেখা যায়।

  • মাইক্রোপ্রিন্ট: উভয় পাশে 'BANGLADESH BANK', '৫০ TAKA' লেখা।

  • অসমতল ছাপা, লুকানো লেখা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী চিহ্ন: ২টি বৃত্ত ও ৬টি লাইন।


২০ টাকার নোট: ছোট আকারে সর্বোচ্চ সুরক্ষা

২০ টাকার নতুন নোটের আকার ১২৭ মিমি × ৬০ মিমি। সবুজ রঙের আধিক্য। বামপাশে রয়েছে কান্তজিউ মন্দির, দিনাজপুরের ছবি এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে শাপলার নকশা। পেছনে রয়েছে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের ছবি।

নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য:

  • ২ মিমি নিরাপত্তা সুতা: ‘৳২০ বিশ টাকা’ খচিত, রঙ বদলায়।

  • See-through প্যাটার্ন: আলোতে ধরলে ‘২০’ স্পষ্ট দেখা যায়।

  • মাইক্রোপ্রিন্ট ও Gluish pattern: উলম্বভাবে লেখা ‘BANGLADESH BANK’।

  • অসমতল ছাপা, লুকানো লেখা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ২টি বৃত্ত


কেন এই নোটগুলো গুরুত্বপূর্ণ?

বাংলাদেশ ব্যাংক আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এসব নোট তৈরি করেছে যাতে জাল নোট নির্মাতা চক্র সহজে প্রতারিত করতে না পারে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষ যেন খুব সহজে বুঝতে পারেন কোনটি আসল আর কোনটি নকল।

No comments found