নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতা দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) তারা দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বরাবর আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
কারা পদত্যাগ করেছেন?
আবু হানিফ – যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক
হানিফ খান সজিব – যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তর অঞ্চল)
আব্দুজ জাহের – যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক
তিনজনই পূর্বে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং পরবর্তীতে এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
তিন নেতাই পদত্যাগপত্রে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ উল্লেখ করেছেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এনসিপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বা মতাদর্শগত অস্বচ্ছতা তাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। দলটি মূলত বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে গঠিত।
আত্মপ্রকাশের পরপরই গণঅধিকার পরিষদের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী এনসিপিতে যোগ দেন।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনজন শীর্ষ নেতা দল থেকে সরে দাঁড়ানোয় এনসিপির সাংগঠনিক কাঠামো এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দলে মতপার্থক্য ও সাংগঠনিক দুর্বলতা স্পষ্ট হচ্ছে। যদিও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাননি, তবে দ্রুতই তাদের অবস্থান পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
"এনসিপির শুরুর দিকেই অভ্যন্তরীণ সংকট দেখা দেওয়া স্বাভাবিক নয়। এটি দলটির অভ্যন্তরীণ পরিচালনায় কোনো সমস্যা রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়।" - একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
এনসিপির এই পরিবর্তন ভবিষ্যতে কী ইঙ্গিত বহন করছে? দলটি আদৌ শক্ত ভিতের উপর দাঁড়াতে পারবে, নাকি শুরুতেই বিভক্তি তার পতনের কারণ হবে? এ প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে।