close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

১০ বার বিষাক্ত কামড়! সারারাত মৃ*ত দেহ পাহারায় সাপ—জেগে উঠে হতবাক পরিবার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
উত্তরপ্রদেশের মেরঠে এক যুবককে একে একে ১০ বার কামড়ে দিল সাপ, তাও সারারাত ধরে। শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত হবার পরও সাপটি সরে যায়নি, বসেছিল লাশের নিচে! এই রহস্যঘন ও গা শিউরে ওঠা ঘটনার পর পরিবার ও গ্রাম..

একটি সাপ এক যুবককে দশবার কামড়ে মারল। সেই মৃত্যুই যেন ছিল না যথেষ্ট—সারারাত লাশের নিচে বসে পাহারা দিল সাপটি। এমন এক গা শিউরে ওঠা ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠ জেলার বাহসুমা থানার অন্তর্গত আকবরপুর সাদাত গ্রামে।

মারা যাওয়া যুবকের নাম অমিত ওরফে মিকি। বয়স মাত্র ২৫ বছর। পেশায় দিনমজুর অমিত ছিলেন চার ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে চলছিল তার ছোট্ট সংসার। শনিবার রাতে শ্রমিকের কাজ শেষে বাড়ি ফিরে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু ভোরবেলা তার নিথর দেহ দেখে হতবাক হয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।

জাগানো হলো না, নড়াচড়ায় বেরিয়ে এলো সাপ!
পরিবারের সদস্যরা ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে অমিতকে ডাকতে গিয়ে কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহে পড়ে যান। দেহে নাড়াচাড়া করতে গিয়েই তারা চমকে ওঠেন—অমিতের শরীরের নিচ থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে এলো একটি বিষাক্ত সাপ! তার দেহে একটির পর একটি করে ১০টি কামড়ের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল।

এই দৃশ্য দেখে গোটা পরিবারে হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। কান্না, চিৎকারে ভরে ওঠে পরিবেশ। চারপাশ থেকে জড়ো হন প্রতিবেশীরা। তারা সাপটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলেও সেটি নড়েনি একচুলও। বরং মৃতদেহের নিচে সে স্থির হয়ে ছিল সারারাত, যেন পাহারা দিচ্ছে তার শিকারকে।

ডাকা হলো সাপুড়ে, ততক্ষণে সব শেষ
খবর পেয়ে মহম্মদপুর সিখেদা থেকে ডেকে আনা হয় একজন মাদারিকে (সাপুড়ে)। তিনিই সেই সাপটিকে ধরে নিয়ে যান। ততক্ষণে পরিবারের সদস্যরা অমিতকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে সাপের কামড়েই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

“১০ বার কামড়! তবুও নড়ল না!”—চমকে দেওয়া বক্তব্য পরিবারের
অমিতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা জীবনে এমন দৃশ্য কখনো দেখেননি। অমিতকে যখন প্রথম খুঁজে পাওয়া যায়, তখনও তারা ভাবেননি এমন কিছু হতে পারে। তার শরীরের ১০টি স্থানে পরিষ্কার সাপের দংশনের দাগ ছিল। কিন্তু সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার ছিল—সাপটি তাড়া খেয়েও দেহ থেকে সরে যায়নি।

গ্রামবাসীদের অনেকে বলছেন, “সাপের এমন আচরণ আমরা দেখিনি কখনও। এটা শুধু কামড় নয়, এটা যেন কিছু ব্যক্তিগত প্রতিশোধ।”

এই অস্বাভাবিক আচরণ ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অনেকে এটিকে শুধুই দুর্ঘটনা বলে মনে করলেও অনেকে বলছেন—“এটা যেন অন্যকিছুর ইঙ্গিত, ভয়ংকর ও অজানা কোনো রহস্য!”


 

সাপের কামড়ে মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক হলেও, এই ঘটনার গা ছমছমে দিক হলো—সাপটি ১০ বার কামড়ানোর পরও কেন মৃতদেহের পাশে রাতভর বসে থাকল? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে পুরো এলাকায়। মৃত্যু যেন শুধু শিকার ছিল না, শিকারকে পাহারা দেওয়াও ছিল সাপটির উদ্দেশ্য!

Nessun commento trovato