close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

নতুন দায়িত্ব নেওয়া ই রা নি ড্রো ন ক মান্ডা রকেও মে রে ফেলল ই স রা য়েল..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের ড্রোন যুদ্ধের পাল্টা প্রতিশোধ! প্রধান নিহত হওয়ার পর দায়িত্ব নেওয়া আইআরজিসির ড্রোন কমান্ডার আমিন পুর জোদখিও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না। টার্গেটেড হামলায় তাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। মধ্যপ্..

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার আগুনে যেন ঘি ঢালছে একের পর এক প্রাণঘাতী হামলা। ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) ড্রোন ইউনিট এখন একে একে নেতৃত্ব হারাচ্ছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আইআরজিসির ড্রোন ইউনিটের দ্বিতীয় কমান্ডারও নিহত হলেন ইসরায়েলের হামলায়।

শনিবার, ২১ জুন – দিনটি ইরানের জন্য রক্তাক্ত ইতিহাস হয়ে থাকলো।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, তারা এক বিশেষ অভিযানে আইআরজিসির নতুন ড্রোন কমান্ডার আমিন পুর জোদখি-কে হত্যা করেছে। এই ব্যক্তিই সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম ইরান থেকে শত শত ড্রোন পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। তিনি সরাসরি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে চালানো ইউএভি (Unmanned Aerial Vehicle) ড্রোন হামলার মূল সমন্বয়কারী ছিলেন।

ইসরায়েলি বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা গোয়েন্দা তথ্যে ভিত্তি করে আমিন পুর জোদখির অবস্থান শনাক্ত করে এবং বিশেষ বিমান হামলার মাধ্যমে তাকে টার্গেট করে হত্যা করে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “আমিন পুর জোদখি একটি ক্রমবর্ধমান হুমকি ছিলেন। ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য তার অপারেশনাল নেতৃত্ব বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল।”

এ হামলা ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ভয়াবহ মাত্রা নির্দেশ করে।
আইআরজিসি তাদের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।

তাহার ফার নামে আইআরজিসির ড্রোন ইউনিটের প্রধানকে ১৩ জুন ইসরায়েলি হামলায় হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের পর নতুন দায়িত্ব নেন জোদখি।
দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৮ দিনের মাথায় তাকেও টার্গেট করে ইসরায়েল। তার মাধ্যমে ইসরায়েলের আশঙ্কা আরও বেড়ে যায় যে, ড্রোন হামলা থামছে না — বরং আরও বিস্তৃত হচ্ছে।

জোদখি ছিলেন প্রযুক্তিগত ও সামরিকভাবে দক্ষ, তার তত্ত্বাবধানে ইরান সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সফল ড্রোন অভিযান চালায়। ফলে ইসরায়েল তাকে “অবিলম্বে নিষ্ক্রিয়” করতে চেয়েছিল।

এই হত্যাকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।
ইরানের পক্ষ থেকে প্রতিশোধের বার্তা আগে থেকেই প্রচারিত হচ্ছে। তবে এবার পরপর দুই শীর্ষ ড্রোন কমান্ডার হারানোর ধাক্কা ইরানের জন্য শুধু সামরিক নয়, মনস্তাত্ত্বিকভাবেও গভীর।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন পুরো অঞ্চলজুড়ে এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ পরিস্থিতির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্য।

ইসরায়েল এবং ইরানের এই পরস্পরবিরোধী সংঘর্ষ এখন সরাসরি কমান্ডার হত্যার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
যেখানে কূটনীতি ব্যর্থ, সেখানে বারুদের ভাষাই যেন বাস্তবতা।
প্রতিবারের মতোই এবারও প্রশ্ন থেকে যায়—এই হত্যাকাণ্ড কি সংঘর্ষ থামাবে, না আরও রক্তপাতের রাস্তাই প্রশস্ত করবে?

No comments found


News Card Generator