close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে—ঘোষণা করলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব। জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানেই ঘটতে পারে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফ..

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড়সড় এক পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই প্রভাবশালী সহযোগী সংগঠন—যুবলীগস্বেচ্ছাসেবক লীগ—নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে তিনি এ বিস্ফোরক তথ্য জানান।

পোস্টে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, “নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই প্রসেস শুরু হয়েছে এবং সব ফরমালিটিও শেষ হয়ে গেছে। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা।”

তিনি আরও বলেন, “গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলোর নিষিদ্ধকরণ ও রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করা নিশ্চিত করাই জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের মূল অঙ্গীকার।”

এই বক্তব্য রাজনীতির অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। কারণ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের মূল শক্তির অংশ হিসেবে পরিচিত। এই দুটি সংগঠন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে নির্বাচনকালীন মাঠ নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ঘোষণা একদিকে যেমন আওয়ামী লীগের জন্য বড় ধাক্কা, অন্যদিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণ সৃষ্টি করতে পারে।

তারা আরও বলছেন, যদি সত্যিই এই নিষিদ্ধকরণ কার্যকর হয়, তাহলে আগামী দিনের রাজনৈতিক ছকে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে।

❝জুলাই মাসেই ঘটবে ‘গণ-অভ্যুত্থান’?❞

আসিফ মাহমুদের পোস্টে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ শব্দটি বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি একটি সংগঠিত রাজনৈতিক কর্মসূচির ইঙ্গিত হতে পারে, যা সরকারবিরোধী শক্তিগুলোর সমন্বিত আন্দোলনের অংশ।

তবে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বা সরকারিভাবে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

❝যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভূমিকা ও বিতর্ক❞

যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ এক সময় শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগে এদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

২০১৯ সালে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে একাধিক বড় কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। যদিও আওয়ামী লীগ মাঝে মধ্যেই শুদ্ধি অভিযানের কথা বলেছে, তবু সংগঠনগুলোর বিতর্কিত কর্মকাণ্ড কমেনি।

❝রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মোড়?❞

নিষিদ্ধকরণের এই ঘোষণা যদি বাস্তব রূপ পায়, তাহলে তা শুধু আওয়ামী লীগ নয়, গোটা দেশের রাজনীতিকেই নাড়িয়ে দিতে পারে।

জনমনে প্রশ্ন জাগছে—এই ঘোষণা শুধুই একজন রাজনৈতিক উপদেষ্টার অবস্থান, নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও বড় রাজনৈতিক কৌশল?
রাজনীতি পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বাড়বে, বাড়বে পাল্টাপাল্টি অবস্থান।

No comments found


News Card Generator