close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

নির্বাচনকে সামনে রেখে টেলিকম নীতিমালা প্রণয়ন সমীচীন নয় , ফখরুল..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ফখরুল বললেন, নির্বাচনের আগে টেলিকম নীতিমালা দেশের জন্য নয়, মোবাইল কোম্পানির লাভের জন্য। মঈন খানের অভিযোগ, সরকার সুবিধা দিচ্ছে বড় কোম্পানিকে।..

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা যখন চরমে, ঠিক তখনই টেলিকম খাতে নতুন নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্তকে ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। বিএনপি স্পষ্টভাবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে—এই নীতিমালা কোনোভাবেই জনগণের কল্যাণে প্রণীত নয়; বরং সরকার এটিকে ব্যবহার করছে মোবাইল অপারেটরদের বিশেষ সুবিধা দিতে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এমন এক সময়ে টেলিকম নীতিমালার মতো স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত নেওয়া সমীচীন নয়। এ ধরনের উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ এবং জনগণের আস্থার ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, “সরকারের উচিত এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, যা দেশের গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখবে এবং জনগণের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, এখানে জনগণের চেয়ে মোবাইল কোম্পানির লাভকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।”

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান আরও সরাসরি অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, “আমরা দেখছি, এই নীতিমালার মাধ্যমে মূলত বড় মোবাইল কোম্পানিগুলোকেই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। যারা ইতিমধ্যে বাজার দখল করে রেখেছে, তারা আরও আধিপত্য বিস্তার করবে এই নীতির মাধ্যমে।”

ড. মঈন খানের অভিযোগ, “একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা নিশ্চিত করার বদলে সরকার এমন একটি নীতিমালা করছে, যা ছোট ও মাঝারি মোবাইল অপারেটরদের জন্য চরমভাবে বাধাস্বরূপ। এর ফলে বাজারে একচেটিয়া আধিপত্যের ঝুঁকি বাড়ছে।”

তিনি আরও বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ প্রযুক্তিখাতে সুস্থ প্রতিযোগিতা নষ্ট করবে। শুধু তা-ই নয়, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এই নীতিমালা যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তা জনমনে সন্দেহ তৈরি করছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যখন নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ছে, তখন সরকার যদি বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নীতিমালা করে, তাহলে তা স্পষ্টভাবে স্বার্থসংঘাত সৃষ্টি করে। বিশেষ করে, সরকার যে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ দেওয়ার কথা বলছে, বাস্তবে তা বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতের নির্বাচন এবং তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।

বিএনপির ভাষ্য, এমন গুরুত্বপূর্ণ খাতে নীতিনির্ধারণ নির্বাচন-পরবর্তী সময় পর্যন্ত স্থগিত রাখা উচিত ছিল। কারণ এটি নির্বাচনপূর্ব সময়ে গ্রহণ করা হলে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হতে বাধ্য।

মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জনগণের কল্যাণে যা দরকার, আমরা তাতে সমর্থন জানাই। কিন্তু টেলিকম নীতিমালা প্রণয়নের মতো বড় সিদ্ধান্ত, যেটি নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতার প্রশ্ন তোলে, তা এখনই কার্যকর করা অনুচিত।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি কোনো নীতির বিরুদ্ধে নয়, যদি তা হয় জনবান্ধব এবং স্বচ্ছ। কিন্তু নির্বাচনের আগে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ মানেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ড। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি।”

Không có bình luận nào được tìm thấy