close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

নির্বাচনি রোডম্যাপ জানতে প্রধান উপদেষ্টার দ্বারে বিএনপি — আসছে বড় কর্মসূচি!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপি নির্বাচনের নির্ভরযোগ্য রোডম্যাপ জানতে এবার সরাসরি যোগাযোগে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় আসছে বিশাল বিক্ষোভও! ..

নির্বাচনি রোডম্যাপ জানতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপি

ডিসেম্বরে নির্বাচন চাই”, স্পষ্ট বার্তা দিয়ে মাঠে নামছে দলটি

নির্বাচন কেন্দ্রিক সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চূড়ান্ত করতে আবারও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমানে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। তিনি দেশে ফিরলেই এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

এই সাক্ষাৎ শুধু সৌজন্যমূলক নয়, বরং নির্বাচন নিয়ে দলের দীর্ঘদিনের সংশয় ও অনিশ্চয়তা দূর করতে চায় বিএনপি। পাশাপাশি দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক চাপ এবং অভ্যন্তরীণ বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানাবে দলটি।


 বিএনপির পরবর্তী পরিকল্পনা কী?

সিঙ্গাপুর থেকে মহাসচিবের ফিরে আসার পর দলীয় পর্যায়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। এরপরেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসবে বিএনপি। সেখানেই তারা জানাবে—

  • নির্বাচন নিয়ে দলটির উদ্বেগ

  • সরকারের সময়সীমা নিয়ে সংশয়

  • রোডম্যাপের অভাব

  • সংস্কার প্রক্রিয়া কতদূর এগিয়েছে

  • জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজনীয়তা

বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, "সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী জুনের মধ্যে হবে, কিন্তু এটিকে কোনো নির্ভরযোগ্য রোডম্যাপ মানছে না বিএনপি। বরং তারা এই দোদুল্যমান অবস্থাকে রাজনৈতিক ফাঁকির অংশ হিসেবে দেখছে।"


 বিএনপির নির্বাচন সংক্রান্ত মূল দাবি

বিএনপি মনে করছে, নির্বাচনকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ও সময়বদ্ধ রোডম্যাপ ছাড়া একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্য তারা চায়:

  • ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন

  • প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার অধ্যাদেশের মাধ্যমে শেষ করা

  • জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের সূচনা

  • ভোটারদের আস্থা ফেরাতে নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করা

গত ২৩ মার্চ বিএনপি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশন সংক্রান্ত মতামত জমা দিয়েছে। দলটি মনে করছে, এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারকে তারা ইতোমধ্যেই সহযোগিতা করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।


 ফিলিস্তিন ইস্যুতে তীব্র নিন্দা ও ঢাকায় বড় বিক্ষোভের প্রস্তুতি

নির্বাচনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও বিএনপি স্পষ্ট অবস্থান নিচ্ছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা ও বর্বরতার ঘটনায় তারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং এ বিষয়ে দলীয়ভাবে খুব শিগগিরই রাজধানী ঢাকায় বড় ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে।

বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এবার কেন্দ্রীয়ভাবে ‘মার্চ ফর গাজা’ আন্দোলনে অংশ নিতে যাচ্ছে পুরো দল।
বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, “ইসরায়েলের এই জঘন্য হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান দৃঢ়। ঢাকার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আমরা সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবো।”


 স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কী আলোচনা হলো?

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ঈদের পর এটিই ছিল বিএনপির প্রথম বড় নীতিনির্ধারণী বৈঠক। এখানে আলোচিত বিষয়গুলো ছিল:

  • নির্বাচনি রোডম্যাপ ও সময়সীমা

  • নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার

  • দলের পরবর্তী করণীয়

  • ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ

  • আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও কূটনৈতিক ভূমিকা


 মাঠে নামার প্রস্তুতি

বিএনপি মনে করছে, নির্বাচনের বিষয়ে দেরি করলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আরও বাড়বে। এজন্য ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চায় তারা। এ নিয়ে তাদের অবস্থান হবে আরও সক্রিয়।

সাক্ষাতের পরে দলটি রোডম্যাপ সংক্রান্ত অবস্থান স্পষ্ট করে দু-একটি বড় কর্মসূচিতে যেতে পারে। তবে বিরোধিতার নামে সংঘাতে না গিয়ে বিএনপি চাইছে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে।


 

বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বিএনপির এই উদ্যোগ আগামী দিনের নির্বাচনের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শুধু একটি রাজনৈতিক ইঙ্গিত নয়—এটি হতে পারে বিএনপির রাজনৈতিক পুনরুত্থানের একটি কৌশলী পদক্ষেপ।

সবার চোখ এখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেই বৈঠকের দিকেই…

Inga kommentarer hittades


News Card Generator