close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

নির্বাচনের সময় নিয়ে তপ্ত রাজনীতি: ডিসেম্বর না জুন? বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির অবস্থান ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে দানা বাঁধছে উত্তেজনা। একপক্ষ ডিসেম্বর চায়, আরেকপক্ষ সময় নিচ্ছে জুন পর্যন্ত। বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি ও অন্যান্য দলের কৌশলগত অবস্থান ও প্রধান উপদেষ্টার বক্..

সম্পূর্ণ পুনর্লিখিত বিশ্লেষণধর্মী নিউজ:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: সময় নিয়েই দানা বাঁধছে রাজনৈতিক উত্তেজনা

বাংলাদেশের রাজনীতির আঙিনায় ফের একবার উত্তপ্ত হাওয়া। কারণ, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে—এই প্রশ্নে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি এবং অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান থেকে শুরু করে সরকারের উপদেষ্টাদের বক্তব্য—সব মিলিয়ে রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে এক নতুন উত্তেজনাকর মোড়।

প্রথম থেকেই বিএনপি দাবি করে আসছে, স্বল্পমেয়াদী রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে। দলটির নেতারা সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসলেও নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বা রোডম্যাপ না পাওয়ায় তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, বিএনপি পরবর্তী তিন মাস মাঠে থাকার এবং ধারাবাহিক কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানেও দেখা যাচ্ছে পরিবর্তন। পূর্বে ‘গ্রহণযোগ্য সময়’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করলেও সম্প্রতি তারা রোজার আগেই নির্বাচন চাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। আমির শফিকুর রহমান দলের পক্ষ থেকে তিনটি শর্ত দিয়েছেন—১) প্রয়োজনীয় সংস্কার, ২) ফ্যাসিস্ট শক্তির বিচার এবং ৩) সুষ্ঠু নির্বাচন পদ্ধতির নিশ্চয়তা। তিনি বলেন, “সময় কঠিন কিছু নয়, শর্ত পূরণ হলেই নির্বাচন সম্ভব।”

এদিকে এনসিপির পক্ষ থেকেও সংস্কারকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানিয়েছেন, “আমরা চাই মৌলিক সংস্কার, শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর পরিবর্তন, এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে বিচার। এ দাবি পূরণ হলেই আমাদের পক্ষে ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য।”

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন রেখেছেন—কেন সংস্কারকে ভোটাধিকার ও নির্বাচনের বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে? তার মতে, “জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে সংস্কার মানেই হবে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম।”

একইসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জানিয়েছে, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ এতে “নতুন স্বৈরাচার জন্ম নিতে পারে।”

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য: কী বলছে সরকারপক্ষ?

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হবে। তবে ইচ্ছাকৃত দেরি নয়, সময়ের ভেতরেই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজনই সরকারের উদ্দেশ্য।

নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিও চলছে ডিসেম্বর কেন্দ্র করেই। কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে।

ঐক্যমত্যে না পৌঁছালে গণভোটই একমাত্র পথ?

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু মনে করছেন, “ছয় মাসের সময়সীমা নিয়ে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে। এটা আলোচনা ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়। তা না হলে রাজনৈতিক জটিলতা বাড়বে এবং গণভোট ছাড়া উপায় থাকবে না।”

বিরোধী জোটের অভ্যন্তরীণ সংলাপ ও কৌশল

বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোটসহ অন্যান্য দলগুলো ইতিমধ্যে রোডম্যাপ ইস্যুকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত করে কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে বিএনপি সরাসরি সরকারবিরোধী কর্মসূচিতে যেতে না চাইলেও রোডম্যাপ ঘোষণায় বিলম্ব হলে মনস্তাত্ত্বিক চাপের মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জানান, ডিসেম্বরের মধ্যেই

No comments found