close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

নির্বাচনের কথা আসলে উপদেষ্টাদের মুখ কালো হয়ে যায় : রাশেদ খান..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুললেই সরকারের উপদেষ্টারা মুখ কালো করে ফেলেন—এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তার মতে, প্রকৃত সংস্কারের একমাত্র পথ হলো অবাধ নির্বাচন। বিস্তারিত..

নির্বাচনের নাম শুনলেই উপদেষ্টারা কাঁপতে শুরু করেন: রাশেদ খানের তীব্র সমালোচনা

দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তবে তিনি অভিযোগ করেছেন, যখনই নির্বাচনের প্রসঙ্গ ওঠে, তখন সরকারের উপদেষ্টাদের চেহারা কালো হয়ে যায়, একদম ফ্যাকাসে রঙ ধারণ করে।

সম্প্রতি রাজধানীতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক সংস্কারের মূল ভিত্তি হলো সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের দেশে এখন নির্বাচন শব্দটাই যেন কারও কারও জন্য আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

রাশেদ খান বলেন, “দেশে একটি শ্রেণির উপদেষ্টা ও ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর মধ্যে নির্বাচনের প্রতি ভয় কাজ করে। যখনই কেউ নির্বাচন চায়, তখন তারা নানা অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের মুখের রঙ একেবারে কালো হয়ে যায়। জনগণ এখন এই কৃত্রিম নাটক আর দেখতে চায় না। তারা চায় একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষের পথে, অথচ এখনো তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি। উপদেষ্টারা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে শুধু উন্নয়নের গল্প শোনান, অথচ মূল বিষয় অর্থাৎ জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তারা নিরব থাকেন। এটাই প্রমাণ করে যে তারা নির্বাচনের ভয় পান।”

গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা আরও বলেন, “দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। যারা উপদেষ্টা হয়ে সরকারের ছায়ায় বসে আছেন, তারা যদি সত্যিকারের সংস্কার চান, তবে প্রথমেই নির্বাচন নিয়ে পরিষ্কার অবস্থান নিতে হবে। শুধু বিবৃতি দিলেই চলবে না, কাজে তা প্রমাণ করতে হবে।”

রাশেদ খানের বক্তব্যে আরও উঠে আসে, “বাংলাদেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন। তারা আর প্রহসনের নির্বাচন মেনে নেবে না। যেসব উপদেষ্টা ও বুদ্ধিজীবী ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন না, তারা আসলে গণতন্ত্রের শত্রু। জনগণ তাদের চিনে ফেলেছে।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগামী দিনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন না হয়, তাহলে দেশের মানুষ রাজপথে নেমে আসবে। আমরা রাজপথেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব—জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ আর নেই।”

এসময় গণঅধিকার পরিষদের অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন এবং তার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান।



রাশেদ খানের বক্তব্য আরও একবার প্রমাণ করল, দেশে নির্বাচনকে ঘিরে কতটা অনিশ্চয়তা আর ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে। তিনি যেভাবে উপদেষ্টাদের নির্বাচন-ভীতি তুলে ধরেছেন, তা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দেবে নিঃসন্দেহে। এবার সময় এসেছে সত্যিকার অর্থে জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়ার।

No comments found