ব্যারিস্টার এ কে এম কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি অঙ্গীকার করেছেন একটি নৈরাজ্যহীন, গণতান্ত্রিক ও মানবিক বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার।
নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে, আর সেই নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান—এমন ঘোষণা দিয়েছেন তার ব্যক্তিগত আইন বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এ কে এম কামরুজ্জামান। সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান বলেন, “তারেক রহমানের অঙ্গীকার হলো একটি মানবিক বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করা। এমন এক সমাজ যেখানে কোনো নৈরাজ্য থাকবে না, থাকবে আইনের শাসন। মানুষ পাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে হবে অগ্রগতি, সমাজ থেকে বিশৃঙ্খলা ও হানাহানি দূর হবে। আর এসবের মধ্য দিয়ে কায়েম হবে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা।”
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান বিশ্বাস করেন যে দেশের উন্নয়ন কেবল অবকাঠামো নয়, মানুষের মৌলিক অধিকার, ন্যায়বিচার ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সম্ভব। এজন্য তিনি দেশে ফিরে জনগণের সঙ্গে থেকে পরিবর্তনের রাজনীতি করবেন।
এর আগে, ব্যারিস্টার এ কে এম কামরুজ্জামান বড়পুকুরিয়া এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। গণসংযোগের সময় তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত শোনেন এবং দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
সন্ধ্যায় তিনি পার্বতীপুর উপজেলার ৯ নম্বর হামিপুর ইউনিয়নের ধুলাউদাল বালিকা মাদরাসা মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, এবং বিএনপির পরিকল্পিত সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা চাই আগামী নির্বাচন সবার অংশগ্রহণে হোক, যাতে জনগণের প্রকৃত রায় প্রতিফলিত হয়। এই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।”
জনসভায় পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বড় পরিবর্তনের সূচনা হিসেবে দেখছেন।