close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

নির্বাচন না হলে সারাদেশ হবে শাহবাগ: বিএনপি নেতা খোকনের হুঁশিয়ারি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ডিসেম্বরের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি মানা না হলে সারাদেশের প্রতিটি গ্রাম শাহবাগের মতো অচল করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার এএম মাহবুবউদ্দিন খোকন। সরকার ও আদালতের..

নির্বাচন না হলে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে শাহবাগের দাবানল: খোকনের রাজনৈতিক হুঁশিয়ারি

দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে চলমান রাজনৈতিক উত্তাপ আরও কয়েক ধাপ বেড়ে গেল বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এএম মাহবুবউদ্দিন খোকনের বক্তব্যে। তিনি দৃঢ় ভাষায় ঘোষণা করেছেন, যদি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হয়, তাহলে শহর নয়, দেশের প্রতিটি গ্রামও রূপ নেবে শাহবাগের উত্তাল আন্দোলনে।

শনিবার (২৫ মে) বিকেলে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার দৌলতপুর নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার মাঠে এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন খোকন। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বিএনপির সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেনের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে।

নির্বাচন না হলে প্রতিরোধ ‘ঘরে ঘরে’

খোকন বলেন, “যদি ডিসেম্বরের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হয়, তাহলে শুধু রাজধানী নয়, দেশের প্রতিটি শহর ও গ্রাম শাহবাগে পরিণত হবে। সড়ক-মহাসড়ক অচল হয়ে পড়বে। জনগণ এবার আর বসে থাকবে না। আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে যাবে ঘরে ঘরে।”

তিনি স্পষ্টভাবে জানান, এখন আর শুধুমাত্র ঢাকার রাজপথ নয়, গ্রামগঞ্জেও রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। জনগণের শক্তিই হবে এবার একমাত্র হাতিয়ার।

আদালতের রায় উপেক্ষা ও সরকারের ‘স্বেচ্ছাচারিতা’

ব্যারিস্টার খোকন সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেন, “এই সরকার জনগণের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করছে। আদালত যখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ নেয়ার নির্দেশ দেয়, তখন সেই নির্দেশ অমান্য করা হয়। আদালতের রায় মানছে না সরকার। বরং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এবং এনসিপি প্রধান আদালতের রায় কার্যকরে সরাসরি বাধা দিচ্ছেন।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আদালত এবং বিচার বিভাগের মর্যাদা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে সরকার যদি ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাহলে তা আর সম্ভব হবে না।”

তারেক রহমানের নেতৃত্বে প্রস্তুত আন্দোলন

খোকনের বক্তব্যে উঠে আসে আন্দোলনের পরিকল্পনা। তিনি বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যেই শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। শুধু রাজনৈতিক সভা নয়, এবার হবে প্রতিরোধ আন্দোলন। দেশের জনগণ গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য প্রস্তুত। সময় বেশি নেই।”

তিনি আভাস দেন যে, এই আন্দোলন কোনো ‘প্রথাগত মিছিল’ নয়—এটি হবে রাজনৈতিক দাবির দাবানল, যা শুধু রাজধানী নয়, সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।

সরকারকে শেষবারের মতো সতর্কবার্তা

সরকারের উদ্দেশ্যে খোকন বলেন, “সময়ের মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। জনগণের রায়কে সম্মান জানিয়ে দ্রুত নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ঘোষণা করুন। সংবিধান, আদালত, এবং জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখান—তা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।”

 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চে উত্তাপের পারদ যেখানে প্রতিদিন চড়ছে, সেখানে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য আগামীতেও বড় ধাক্কা নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সরকার ও বিরোধী দলের এই মুখোমুখি অবস্থান দেশে শঙ্কার পরিবেশ তৈরি করছে—যার ভবিষ্যত নির্ভর করছে ডিসেম্বরের মধ্যে রাজনৈতিক সমাধান আসবে কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরেই।

Ingen kommentarer fundet