close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

নিজেদের স্বার্থেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ: জয়শঙ্কর

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শুক্রবার লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ সম
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শুক্রবার লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ সময় তিনি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা এবং ভারতের প্রত্যাশার বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরেন। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের দৃঢ়তা কংগ্রেস সাংসদ মনিশ তিওয়ারির এক প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশ ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। তিনি উল্লেখ করেন, "বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশীদারিত্ব রয়েছে। তবে সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের নিয়ে কিছু উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশের পরিবর্তিত ব্যবস্থার সঙ্গে আমরা পারস্পরিক উপকারী এবং স্থিতিশীল সম্পর্কে পৌঁছাতে পারব।" ভারতের উদ্বেগ ও কূটনৈতিক তৎপরতা জয়শঙ্কর বলেন, "বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার বিষয়ে ভারত ধারাবাহিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। সাম্প্রতিক কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছি। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফরের সময়ও এটি আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল।" পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্যমতে, "এটি আমাদের প্রত্যাশা যে, নিজেদের স্বার্থেই বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এটি শুধু মানবিক নয়, বরং তাদের নিজস্ব স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।" প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক ও উন্নয়ন কার্যক্রম এছাড়া জয়শঙ্কর প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের কৌশলগত সম্পর্কের বিষয়েও আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, "পাকিস্তান ও চীন ছাড়া আমাদের প্রায় প্রতিটি প্রতিবেশীর সঙ্গে উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।" তিনি আরও যোগ করেন, "এখানে আমাদের পরিপক্ব আচরণ করা প্রয়োজন। প্রতিবেশী দেশগুলোর নিজস্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট রয়েছে, যা উত্থান-পতন দেখায়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।" বাংলাদেশের জন্য বার্তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। এটি শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্যই নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এ বক্তব্য বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও সুসংহত করার পাশাপাশি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।
Nessun commento trovato