close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
বাংলাদেশ ও চীন আবারও একসঙ্গে নদী ব্যবস্থাপনায় নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর পথে। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ঢাকা সফরের সময় সই হওয়া সমঝোতা স্মারক নবায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই নদী ব্যবস্থাপনায় দুই দেশের সহযোগিতা আরও মজবুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, এই নবায়নের জন্য দুই পক্ষের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধনী নিয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, ‘নবায়ন নিয়ে ঢাকা-বেইজিং উভয়ই একমত। তবে চূড়ান্ত খসড়া তৈরির আগে কী কী সংশোধন বা নতুন বিষয় সংযোজন করা যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে আমাদের পর্যবেক্ষণ পাঠিয়েছি, তাদের দিক থেকেও মতামত এসেছে। আশা করা হচ্ছে, কিছু সময়ের মধ্যেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।’
ইয়ালুজাংবু নদীর তথ্য বিনিময়ে নতুন উদ্যোগ
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ইয়ালুজাংবু নদীর জলবিদ্যুৎ–সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের একটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এই নদীতে চীনের বাঁধ নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। চীন আশ্বাস দিয়েছে যে তাদের কারণে পানির প্রবাহে কোনো প্রভাব পড়বে না এবং প্রয়োজনীয় স্টাডির তথ্য তারা বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করবে।
তিস্তা ইস্যুতে অগ্রগতি নেই
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এই বিষয়ে আলাপ শুরু করতে হলে প্রথমে একটি সমঝোতা করতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ।’
চিকিৎসায় চীনের নতুন প্রস্তাব: কুনমিং হবে বিকল্প কেন্দ্র
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, চীনের কুনমিংয়ে চিকিৎসার সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন ভারতের বিকল্প হিসেবে কুনমিংয়ে সহজে চিকিৎসা নিতে পারে, সে জন্য আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি ভিসা ফি কমানোরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’
পূর্বাচলে হাসপাতাল নির্মাণে আলোচনা চলছে
তৌহিদ হোসেন আরও জানান, পূর্বাচলে একটি হাসপাতাল নির্মাণে চীনের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যা প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের আওতায় হতে পারে।
कोई टिप्पणी नहीं मिली



















