যশোরে নার্স পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে লাবনী আক্তার নামে একজন আটক হয়েছেন। প্রতারণার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন যশোর সেনানিবাসে কর্মরত কর্পোরাল সোহেল মল্লিক।
আটক লাবনী আক্তার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুদল মৌ গ্রামের বাসিন্দা সেনাসদস্য হামিমের স্ত্রী। সোমবার রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করে পুুলিশে দেওয়া হয়।
মামলায় সোহেল মল্লিক উল্লেখ করেছেন, আসামি লাবনী আক্তারের সাথে তার ২০২২ সালে পরিচয় হয়। ওই সময় আসামি তাকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি বরিশাল সিএমএইচে আয়া পদে চাকরি করেন। এরপর ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর যশোর সিএমএইচে আসামির সাথে ফের তার দেখা হয়। তখন আসামি তাকে জানান, তিনি সিএমএইচে নার্স পদে কর্মরত আছেন।
এরই মধ্যে সোহেল মল্লিকের দাদি গুরুতর অসুস্থ থাকায় আসামি লাবনী আক্তারের পরামর্শে তাকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সিরাজ খালেদা মেমোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে একজন চিকিৎসক তার দাদিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দ্রুত অপারেশন করতে বলেন এবং এ জন্য ৭৫ হাজার টাকা দাবি করেন। এরপর তারা ওই চিকিৎসকের কাছ থেকে দাদিকে অপারেশন করালে তিনি সুস্থ হন। কিন্তু এরই মধ্যে আসামি লাবনী আক্তার চিকিৎসককে দেওয়ার কথা বলে সোহেল মল্লিকের কাছ থেকে ৬৯ হাজার পাঁচশ’ টাকা নেন। কিন্তু আসামি লাবলী আক্তার চিকিৎসককে টাকা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। যে কারণে পরবর্তীতে সোহেল মল্লিক ওই টাকাসহ হাসপাতালের ৯৬ হাজার টাকার বিল পরিশোধ করে তার দাদির ছাড়পত্র নিয়ে আসেন।
এ ঘটনার পর গত সোমবার রাত ১০টার দিকে আসামি লাবনী আক্তারকে যশোর শহরের পালবাড়িতে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন সোহেল মল্লিক।



















