close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
ঢাকা: রাজধানীর চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কওমি উদ্যোক্তা’ নামে একটি সংগঠনের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নারী সাংবাদিকের প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
তবে, নারী সাংবাদিকের প্রবেশে বাধা দেওয়ার বিষয়টি জানতেন না বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন। ঘটনার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। তবে, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আমি বা ধর্ম মন্ত্রণালয় এর জন্য কোনোভাবেই দায়ী নই।’’
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, কওমি উদ্যোক্তা নামে সংগঠনটির আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক নারী সাংবাদিককে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বা মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা ছিল না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘‘যদি আয়োজক কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো ব্যক্তি নারী সাংবাদিককে প্রবেশে বাধা দিয়ে থাকে, তবে সেটি অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে, এ ঘটনায় আমন্ত্রিত অতিথিকে দায়ী করা অনুচিত ও গ্রহণযোগ্য নয়।’’ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মন্ত্রণালয়ের যেকোনো কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের উপস্থিতি সবসময়ই স্বাগত জানানো হয় এবং তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অবস্থান
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘‘আমি সবসময় গণমাধ্যমকে শ্রদ্ধা করি এবং তাদের সহযোগিতা করি। আমার দফতর থেকে কখনোই কোনো সাংবাদিকের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি, বরং আমি নিজে বিভিন্ন সময় সংবাদিকদের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছি।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এ ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। যদি কেউ এই ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে থাকেন, তবে তা অনভিপ্রেত। আমি সবসময় চাই, সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব নির্বিঘ্নে পালন করুক।’’
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হবে? অন্যদিকে, অনেকেই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যাকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন এবং মনে করছেন যে বিষয়টি নিয়ে অতিরঞ্জিত আলোচনা না করাই ভালো।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। একইসঙ্গে, সাংবাদিকদের প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
نظری یافت نشد