close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে চাঁদার দাবীতে মাটিকাটার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে শ্রমিকদের মারধর করে ভেকুর চাবি নিয়ে যায় তারা।একপর্যায়ে ধারালো রামদা,চাপাতি সহ লাঠিসোঁটা নিয়ে জমির মালিক ও ঠিকাদারের বাড়ীতে হামলার চেষ্টা
দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে শ্রমিকদের মারধর করে ভেকুর চাবি নিয়ে যায় তারা।একপর্যায়ে ধারালো রামদা,চাপাতি সহ লাঠিসোঁটা নিয়ে জমির মালিক ও ঠিকাদারের বাড়ীতে হামলার চেষ্টা করে তারা।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি)সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার জাঙ্গাল আইলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী, আমৈর বটতলার মৃত:তাজুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে আশরাফুল আলম লিখিত অভিযোগে জানান,ধামগড় ইউপি'র জাঙ্গাল রাস্তার পাশে পৈতৃক সুত্রে প্রাপ্ত জমিতে মাটি কাটার কাজ করে আসছে।জমিতে মাছের খামার ও ভিটা বাড়ি রয়েছে। বেশ কয়দিন যাবত মৃত:মাজহারুল ইসলামের ছেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ভূমিদস্যু শরীফ হোসেন ও জাঙ্গালের মৃত:নিজাম উদ্দিন মোল্লার ছেলে শাহজাহান মোল্লা এবং হাবিবুর রহমান মেম্বার তাদের সাঙ্গ পাঙ্গদের নিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। তাদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শাহজাহান মোল্লা ও তার ছেলে শাকিল,শান্ত'র নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্রহাতে মাটি কাটার সাইডে এসে শ্রমিকদের ওপর হামলা করে এবং মালিক ও ঠিকাদারকে খোজাখুজি করে।তাদের না পেয়ে বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়দের বাধার মুখে ব্যার্থ হয়ে কাজ বন্ধ করে ভেকু'র চাবি নিয়ে যায় এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা না দিলে কাজ করতে দিবে না বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।এমনকি জমির মালিক ও ঠিকাদারকে জীবনে শেষ করে দেওয়ার জন্য দলবদ্ধ মহড়া দিচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।পরে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত ঘটনা জেনে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবগত করেন এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অপর ভুক্তভোগী মাঠি কাটার ঠিকাদার মনির হোসেন ও হানিফ মিয়া বলেন, মালিক আশরাফুল আলম তার জমির মাটি কেটে ভিটা বাড়ি ভরাট করার জন্য আমাদেরকে কন্টাক্ট দেয়।আমরা শ্রমিকদের নিয়া কাজ করে আসছি।গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে শাহজাহান মোল্লা ও তার দুই ছেলে সহ একদল সন্ত্রাসী এসে কাজ করে দেয় এবং শ্রমিকদের মারধর করে। মালিক ও ঠিকাদারকে না পেয়ে বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে।একপর্যায়ে ভেকু'র চাবি নিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, শরীফ হোসেন, হাবিবুর মেম্বার ও শাহজাহান মোল্লা দীর্ঘ বছর ধরে অপসারিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ রশিদের ঘনিষ্ঠ দোসর হিসেবে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন।৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে শাহজাহান মোল্লা ও তার ছেলেরা ভোল পাল্টে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে তাদের চাঁদাবাজি,দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন।সম্প্রতি মহাসড়কে সংঘটিত বিভিন্ন অপরের সাথে জড়িত ওই সিন্ডিকেট।প্রায়ই ধারালো অস্র হাতে তাদের মহড়া দিতে দেখা যায়। জানতে চাইলে ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টা নিয়ে দু'পক্ষই তাকে জানিয়েছেন।শাহজাহান ও তার ছেলেদের কোনরকম ঝামেলা না করার জন্য বলি।কিন্তু তার কথা অমান্য করে এ ঘটনা করেছে।পরে রাত ১১ টার দিকে ঠিকাদার হানিফের কাছে ভেকুর চাবি ফিরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় কোনভাবেই জড়িত নয় দাবী করে শরীফ হোসেন বলেন, অভিযোগকারী আশরাফুল আলম আমার আপন চাচাত ভাই।ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ এবং রাজনৈতিক কারণে এই ঘটনায় তাকে জড়িত করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্তকারী অফিসার বন্দর থানার এসআই সহিদুল ইসলাম বলেন, বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার বিষয় প্রাথমিক তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন।পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি