close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

নাগপুরে জরুরি অবতরণ: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চমকপ্রদ ব্যাখ্যা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৩৪৭ গত ১৯ জানুয়ারি নাগপুরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তি নিয়ে সম্প্রতি একটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ, যেখানে তারা নানা ধর..

গত ১৯ জানুয়ারি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৩৪৭ ঢাকা থেকে দুবাই যাওয়ার পথে নাগপুরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। দুই ঘণ্টার ফ্লাইটের পর ফ্লাইটটির ক্যাপ্টেনের কাছ থেকে ফায়ার সতর্ক সংকেত পাওয়ার পর, পাইলট ইন-ফ্লাইট সিদ্ধান্ত নেন, এবং নিরাপদভাবে নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এই পরিস্থিতি যাত্রীদের জন্য ছিল অত্যন্ত অস্বস্তিকর এবং অনেক ধরনের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।

বিমান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম এক বিবৃতিতে জানান, নাগপুর বিমানবন্দর একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দর হওয়ায় এবং তার নিরাপত্তা অনুমতি প্রক্রিয়া ধীর হওয়ায় যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এজন্য টার্মিনালে পানি, টয়লেট এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয় যাত্রীদের।

একইভাবে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কারণে বিমানবন্দরে দীর্ঘ সময় ধরেই যাত্রীদের অবস্থান বাধ্য করা হয়েছিল। খাদ্য সরবরাহেও সময় বেশি লেগেছে এবং গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্টের স্বল্পতার কারণে ব্যাগেজ লোডিংয়ে সময়ের ব্যাঘাত ঘটে। এতে করে উড্ডয়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়।

এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে না পেরে বিমান কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের হোটেলে পাঠানোর অনুমতি চেয়েছিল, কিন্তু নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেই অনুমতি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। ফলে, ৩৯৬ জন যাত্রী ও ১২ ক্রু সদস্যকে টার্মিনালে অবস্থান করতে বাধ্য করা হয়। যাত্রীরা সারা রাত অপেক্ষা করলেও, তাদের পানীয় এবং খাদ্য সরবরাহে নানা দেরি হয়ে যায়।

তবে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ এবং নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে, পরবর্তী উদ্ধারকারী ফ্লাইট পরিকল্পনা করা হয়। এই উদ্ধারকারী ফ্লাইটটি ২৩ ফেব্রুয়ারি নাগপুরে পৌঁছানোর পর, যাত্রীদের দ্রুততম সময়ে নিরাপদভাবে দুবাইতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।


এদিকে, বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, উড়োজাহাজের কার্গো কম্পার্টমেন্টে ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহৃত হওয়ায় উড়োজাহাজটি আরও কোনও যাত্রা পরিচালনা করতে অক্ষম ছিল। সেই কারণে, বিশেষভাবে উড়োজাহাজটি নাগপুর বিমানবন্দরে নিরাপদভাবে অবতরণের পর অন্যান্য সমাধান গ্রহণ করা হয়।

পরে, নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায় যে, তাদের ক্যাটারিং সক্ষমতা সীমিত হওয়ায় যাত্রীদের খাবার সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় সময় বেশি লেগেছে। পরবর্তীতে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস যাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করেছে।

বিমানের এই চরম পরিস্থিতি ও বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের যাত্রা সহজ করতে বিমান কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে এবং যাত্রীদের সেবা প্রদান করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।

এভাবে, জরুরি অবতরণের ঘটনায় বিমানের কর্মকর্তারা যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সান্ত্বনা নিশ্চিত করতে সব রকমের চেষ্টা করেছেন, যদিও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সাধ্যমত সহযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

 

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৩৪৭ জরুরি অবতরণের কারণে নাগপুর বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। বিমান কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছে, যেখানে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দীর্ঘসূত্রতা এবং সাপোর্ট সরঞ্জামের অভাবের কারণে সমস্যাগুলো হয়েছে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا