close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আটক সেই হান্নানের জামিন

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Court grants bail to Hannan after police confirm wrongful arrest due to motorcycle number error.

রাজধানীর পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আটক আব্দুল হান্নান অবশেষে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাত দীর্ঘ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন এবং নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শুধুমাত্র মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের একটি সংখ্যার অমিলের কারণে একজন সম্পূর্ণ নিরপরাধ ব্যক্তিকে এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরীফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি চালায়। এই ঘটনায় সারা দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত অভিযানে নামে। গত ১৩ ডিসেম্বর র‍্যাব-২ সন্দেহভাজন হিসেবে আব্দুল হান্নানকে আটক করে এবং পল্টন থানায় হস্তান্তর করে। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ দাবি করেছিল, হাদিকে হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মালিক হান্নান। এরপর গত ১৪ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে ৫৪ ধারায় তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

রিমান্ড চলাকালে পুলিশ আব্দুল হান্নানের দেওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে তাকে মোটরসাইকেলের শোরুম মালিকের মুখোমুখি করে। বিআরটিএ-র তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, হান্নানের নামে দুটি মোটরসাইকেল নিবন্ধিত রয়েছে—একটি সুজুকি জিক্সার এবং একটি ইয়ামাহা। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, হাদিকে হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছিল হোন্ডা ব্র্যান্ডের হর্নেট মডেলের একটি কালো মোটরসাইকেল।

সবচেয়ে বড় নাটকীয়তা তৈরি হয় রেজিস্ট্রেশন নাম্বার নিয়ে। হান্নানের মোটরসাইকেলের নম্বর ঢাকা মেট্রো-ল ৫৪-৬৩৭৫, যা একটি সুজুকি জিক্সার। অন্যদিকে, ঘাতকদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নাম্বারের শেষে '৬' থাকার কথা থাকলেও তদন্তে ভুলক্রমে '৫' শনাক্ত করা হয়েছিল। অর্থাৎ শুধুমাত্র একটি সংখ্যার বিভ্রাটে আব্দুল হান্নানকে এই নৃশংস খুনের ঘটনায় আসামি হিসেবে রিমান্ডের ঘানি টানতে হয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়ে স্বীকার করে যে, আব্দুল হান্নান প্রকৃত মালিক নন এবং নাম্বারের ভুলেই তাকে আটক করা হয়েছিল। রিমান্ডের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর আজ তিনি আইনি মুক্তি পেলেন। তবে মূল ঘাতক ফয়সাল করিম মাসুদ ও রাহুল দাউদ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় জনমনে উদ্বেগ রয়েই গেছে।

No comments found


News Card Generator