close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে মোবাইলফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়িয়ে জনগণের ওপর নতুন চাপ তৈরি হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই খরচ বৃদ্ধির জন্য ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মোবাইলফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে তিন শতাংশ বৃদ্ধি করে ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে, এখন ১০০ টাকা রিচার্জ করলে গ্রাহককে ৫৬ টাকার বেশি কর দিতে হবে। পাশাপাশি, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সই করা এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর হয়। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ দ্রুত নির্দেশনা দিয়ে জানায় যে এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
কেন শুল্ক বৃদ্ধি?
চলতি অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি পূরণে এনবিআর এই ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত এমন সময় নেওয়া হলো, যখন দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে।
বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ৪০ লাখ কমেছে।
জনগণের প্রতিক্রিয়া
নতুন শুল্ক বৃদ্ধিতে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট এখন জীবনের অপরিহার্য অংশ, যেখানে খরচ বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বড় প্রভাব ফেলবে।
এই সিদ্ধান্ত দেশের ডিজিটাল সংযোগ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইন্টারনেট সেবার উপর অতিরিক্ত কর আরোপ করলে ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া ধীরগতি হতে পারে।
পরবর্তী ধাপে এই শুল্কবৃদ্ধি জনজীবনে কী প্রভাব ফেলবে তা দেখার বিষয়।=
No comments found