close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

মনোহরদীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা! মূল আসামিসহ দুই জন গ্রেফতার..

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
মনোহরদীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা! মূল আসামিসহ দুই জন গ্রেফতার..

রিপোর্ট মেহেদী হাসান: রসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বড় ভাইকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল আসামিসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

ঘটনাটি ঘটে ০৪ এপ্রিল, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মনোহরদী থানাধীন চরমান্দালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব মজিদপুর গ্রামে।

নিহত ব্যক্তি হলেন, কাজল মিয়া (৫০), পিতা- মৃত আছির উদ্দিন। মামলার বাদী তার স্ত্রী মোছাঃ রেদুয়ানা খাতুন (৪৮)।

পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে কাজল মিয়া ও তার স্ত্রী ঘরের ভিতরে নাস্তা করছিলেন। হঠাৎ তার ছোট ভাই বাদল মিয়া (৪৭) হাতে শাবল এবং তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম (৩৫) ও ছেলে রোহিন (১৯) লোহার রড হাতে এসে তাদের ঘরের সামনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।  

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে বাদল মিয়া তার বড় ভাইকে উঠানে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে। তিনজন মিলে লোহার রড ও শাবল দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে কাজল মিয়াকে। একপর্যায়ে বাদল মিয়া মাথায় শাবল দিয়ে সজোরে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি জ্ঞান হারান।

পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মনোহরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।


ঘটনার পরপরই ঘাতক বাদল মিয়া, তার স্ত্রী স্বপ্না ও ছেলে রোহিন গা-ঢাকা দেয়। পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে নরসিংদী সদর উপজেলার ভেলানগর এলাকার সড়লা বেগমের বাসা থেকে বাদল মিয়া ও স্বপ্না বেগমকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি শাবল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে।  

অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী পুলিশ সুপার (শিবপুর সার্কেল) রায়হান সরকার, অফিসার ইনচার্জ (মনোহরদী থানা) মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আবেদ আলী, পুলিশের সঙ্গীয় ফোর্সসহ কনস্টেবল মাজহারুল ও দ্বীন ইসলাম।

No se encontraron comentarios