close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ময়মনসিংহের ত্রিশালে আলো ছড়াচ্ছে রাণীগঞ্জ পাঠাগার

Tanveer ahmmad avatar   
Tanveer ahmmad
স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার  শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মিলিয়ে এখন তাদের তালিকাভুক্ত পাঠকের সংখ্যা ৪০০ জন এবং পাঠাগারের  বিভিন্ন শেলফে বিষয়ভিত্তিক  কর্ণারে সাজানো রয়েছে প্রায় ৫০০০ এর..


❝এসো বই পড়ি,আলোকিত সমাজ গড়ি❞ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০২১  সালে  একদল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণের সংগঠন দ্যা স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের  হাত ধরে  ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার পোড়াবাড়ি বাজারে যাত্রা শুরু করে রাণীগঞ্জ পাঠাগার। 

স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার  শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মিলিয়ে এখন তাদের তালিকাভুক্ত পাঠকের সংখ্যা ৪০০ জন এবং পাঠাগারের  বিভিন্ন শেলফে বিষয়ভিত্তিক  কর্ণারে সাজানো রয়েছে প্রায় ৫০০০ এর অধিক দেশি-বিদেশি  বই। দুইটি কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা আইটি সুবিধাও পাচ্ছে।এছাড়াও পাঠকদের জন্য দৈনিক পত্রিকা ও বিভিন্ন সাময়িকীও রাখা হয়।

রাণীগঞ্জ পাঠাগারের  নিয়মিত পাঠক ও স্থানীয় পোড়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থী মাশরাফি ও সিয়ামের   সাথে আমাদের কথা হয় পাঠাগারটির বিভিন্ন জ্ঞানভিত্তিক ও সামজিক সেবামূলক কার্যক্রমের ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে। এই কিশোরদের চোখে আমরা দেখতে পাই রাণীগঞ্জ পাঠাগারের নিরলস জ্ঞান বিতরণের প্রচেষ্টার একটি উজ্জ্বল আলো।

পাঠাগারে গিয়ে দেখা যায় দুইজন পাঠক ও সানকীভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী  আকরাম ও সিয়াম প্রায় ৫কি.মি. দূর থেকে সাইকেল চালিয়ে এসেছে পাঠাগারের সদস্য হতে ।মাত্র ২০টাকা দিয়ে পাঠাগারের সদস্য হয়ে তারা পাঠাগার থেকে বই ধার নিয়েছে।
সম্প্রতি রাণীগঞ্জ পাঠাগার  "চলন্তিকা সাহিত্য পুরষ্কার-২০২৪" এর সেরা সাহিত্যানুরাগী সংগঠন হিসেবে পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।

রাণীগঞ্জ পাঠাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে  দিতে কাজ করে আসছে।একজন পাঠকের বই পড়ার মাঝেই আমরা  আনন্দ খুঁজে পাই। বই পড়ার মাধ্যমে গড়ে উঠছে একটি ভাবুক শ্রেণী যাদের হাতে পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
  - একান্ত আলাপচারিতায়  এমনটাই জানান পাঠাগারটির বর্তমান কার্যকরী কমিটির সাধারন সম্পাদক সিয়াম আবু রাফি। 
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এই স্বপ্নবাজ তরুণের প্রত্যশা একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মানে রাণীগঞ্জ পাঠাগার হয়ে উঠবে একটি  বাতিঘর।

Hiçbir yorum bulunamadı