ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের যোগীরডাংগুরি গ্রামে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বজ্রপাতে এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। নিহত স্কুলছাত্র সাব্বির মিয়া (৮) তার মা আফরোজা আক্তার ও জমজ ভাই আবির মিয়ার সঙ্গে হাঁস আনতে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে প্রাণ হারায়। আহত হয় মা ও আবির মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৫টার সময় মা আফরোজা আক্তার তিন সন্তানসহ প্রায় এক হাজার ২০০ হাঁস আনতে বিলে যান। হাঁস আনতে যাওয়ার সময় হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতের আঘাতে সাব্বির ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত অবস্থায় মা ও ভাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে সাব্বিরকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮০০ হাঁস বজ্রপাতে মারা গেছে এবং বাকি হাঁসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাব্বির মিয়ার বাবা বাচ্ছু মিয়ার পালিত হাঁসের এই ক্ষতি তাদের পরিবারের জন্য গভীর আঘাত হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিদারুল আলম বলেন, এ বিষয়ে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ বা রিপোর্ট পাইনি। তারা দ্রুত ঘটনাটি খতিয়ে দেখবেন।
স্থানীয়রা এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আর না ঘটে।
বজ্রপাতে শিশু মৃত্যু এবং ব্যাপক পশুখাদ্যের ক্ষতি এই এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পরিবার ও স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দ্রুত সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
এখনো পর্যন্ত এই দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণের বা বিশেষ সহায়তার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ময়মনসিংহের কৃষক ও গ্রামীণ মানুষ এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সাহায্য পেলে অনেক উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।