close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারি: পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ বাংলাদেশের নারী স্পিনার!


ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে বড় ধরনের ধাক্কা! স্পিনার সোহালী আখতারকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। দুর্নীতি দমন নীতির পাঁচটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ স্বীকার করার পরই তার বিরুদ্ধে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কী ছিল অভিযোগ?
আইসিসির এন্টি-করাপশন কোড অনুসারে, সোহালী আখতার ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অভিযোগগুলো হলো—
🔹 ২.১.১ ধারা: ম্যাচের ফলাফল, পারফরম্যান্স বা অন্য কোনো দিককে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রভাবিত করার ষড়যন্ত্র বা এতে অংশগ্রহণ।
🔹 ২.১.৩ ধারা: ম্যাচ ফিক্সিং বা বাজির উদ্দেশ্যে ম্যাচের নির্দিষ্ট ঘটনার ফলাফল নিশ্চিত করতে ঘুষ গ্রহণ বা প্রস্তাব গ্রহণ।
🔹 ২.১.৪ ধারা: অন্য কোনো খেলোয়াড়কে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হতে উৎসাহিত করা বা এতে সহায়তা করা।
🔹 ২.৪.৪ ধারা: আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (ACU) সময়মতো কোনো দুর্নীতির প্রস্তাবের তথ্য না জানানো।
🔹 ২.৪.৭ ধারা: দুর্নীতির তদন্তে বাধা প্রদান করা, তথ্য গোপন করা বা তথ্য নষ্ট করা।
কখন থেকে কার্যকর হবে নিষেধাজ্ঞা?
সোহালী আখতার নিজের দোষ স্বীকার করায় তিনি আইসিসির দেওয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন। ফলে ২০২৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারবেন না।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ ফিক্সিং সংযোগ!
আইসিসির তদন্ত অনুযায়ী, ২০২৩ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (দক্ষিণ আফ্রিকা) চলাকালে ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত কিছু প্রস্তাবের সঙ্গে সোহালী আখতারের সম্পৃক্ততা ছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে আইসিসি এখনো তার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।
এ ঘটনাটি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের জন্য বড় এক ধাক্কা। এর আগে, পুরুষ ক্রিকেটেও একাধিকবার ফিক্সিং কেলেঙ্কারি দেখা গেছে, তবে এবার নারী ক্রিকেটেও এমন ঘটনা ঘটায় দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বড় সতর্কবার্তা!
ম্যাচ ফিক্সিং ও দুর্নীতি রোধে আইসিসি সবসময় কঠোর অবস্থান নিয়ে থাকে। এর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটে মোহাম্মদ আশরাফুল ও সাকিব আল হাসানের মতো খেলোয়াড়রাও নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন। এবার নারী ক্রিকেটে এমন ঘটনা ঘটায় এটি ভবিষ্যতে আরও বড় সংকট তৈরি করতে পারে।
আইসিসির এন্টি-করাপশন কোডের পূর্ণাঙ্গ নথি ও সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংস্থাটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
Walang nakitang komento