close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

মিতু হত্যা মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন খালাস পেলেন

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন খালাস পেয়েছেন।..

ঢাকা: মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ এবং প্রচারের অভিযোগে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে খালাস দিয়েছে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। বুধবার, ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন। ট্রাইব্যুনালের পেশকার মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'আজ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত সাক্ষী সমাপ্ত ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন।'

মামলার প্রেক্ষাপট অনুসারে, ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২৩ সালের ২৫ জুলাই, ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত চার্জশিট আমলে নিয়ে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার ও তার পিতা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি প্রদান করেন। একইসঙ্গে অপর আসামি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন।

২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি, ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত মামলায় বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুকে অব্যাহতি দেন এবং ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে ১৩ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই মামলা সাংবাদিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা এবং সত্য প্রকাশের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের মামলা সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে। সমাজে সত্য প্রকাশের অধিকার এবং দায়িত্ব নিয়ে সাংবাদিকদের কাজ করা উচিৎ। এই খালাসের পরে, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন নিজেও বলেছেন যে, 'এই রায় সাংবাদিকতার স্বাধীনতার জন্য একটি বিজয়।'

कोई टिप्पणी नहीं मिली