চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার এসএসসি-২০১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ৬ষ্ঠ পুনর্মিলনী উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে মহামায়া লেকে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই পুনর্মিলনীতে উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন এবং ২ টি পৌরসভার এসএসসি ১৬ ব্যাচের প্রায় ৩০০ বন্ধুবান্ধব অংশ নেন। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল র্যালি, ফটোসেশান, দড়ি টানাটানি প্রতিযোগিতা, অন্ধের হাঁড়ি ভাঙা, র্যাফেল ড্র, নৈশভোজ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দড়ি টানাটানি খেলায় বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের মধ্যে অবিবাহিতরা বিজয়ী হয়। এছাড়া র্যাফেল ড্রতে ১৬ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়।
আয়োজকরা জানান, বন্ধুত্বের টানে শৈশবের মধুর স্মৃতিচারণায় স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বিজয় দিবসকে ঘিরে এ ব্যতিক্রমধর্মী মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। ব্যাচের সদস্যদের অনেকেই বর্তমানে দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন পেশায় কর্মব্যস্ত।
ব্যাচের পরিচালক জাহেদ হোসেন ইমন বলেন, ২০২৫ সালের ৬ষ্ঠ পুনর্মিলনী সফল করতে দেশে ও প্রবাসে থাকা যেসব বন্ধুরা আর্থিক ও মানসিকভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। বিশেষ করে প্রবাসী বন্ধুদের অবদান অনস্বীকার্য। যারা উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাদের সবাই খুব মিস করেছি।
ব্যাচের আরেক পরিচালক ইব্রাহিম নিশান বলেন, আমাদের ব্যাচটা হচ্ছে ২০১৬, আমাদের ইউনিয়নও ১৬টা আর প্রতি বছর সেজন্য ১৬ই ডিসেম্বরই ১৬ ব্যাচের পুনর্মিলনীর আয়োজন করে থাকি।
শহিদুল ইসলাম নামে ব্যাচের আরেক পরিচালক বলেন, পুনর্মিলনী ছাড়াও আমাদের ব্যাচের কোন বন্ধু যদি কখনও কোন বিপদে পড়ে আমরা সকলে এগিয়ে আসি, আমাদের বন্ধু নিপু কিছুদিন আগে মারা গেছে, তাকে আমরা খুব মিস করছি। গতবছরও সে আমাদের সাথে ছিল এ বছর নেই।
জিয়া আহম্মেদ নামে ব্যাচের পরিচালক বলেন, আমাদের একটাই পরিচয় বন্ধুত্ব। এই বন্ধুত্বের বন্ধন আজীবন অটুট থাকুুক। ভবিষ্যতে ব্যাচকে আরও সাংগঠনিকভাবে গড়ে তুলে পিছিয়ে থাকা বন্ধুদের পাশে দাঁড়ানো, মেধাবী সন্তানদের পড়াশোনায় সহায়তা এবং সুখ-দুঃখে একে অপরের সহযাত্রী হয়ে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রবাসী বন্ধু ইমন বলেন, এসএসসির পর কে কোথায় চলে গেছে, অনেক বছর দেখা হয়নি। প্রবাসে থাকার কারনে গত ৩ বছরের আয়োজনে আমি উপভোগ করতে পারিনি, এ বছর এই অনুষ্ঠানের জন্য ছুটি নিয়ে এসেছি।
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি



















