close
  
  
         
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
মেয়ের মেডিকেলে ভর্তির খরচ জোগাতে হিমশিম: দরিদ্র অনিল চন্দ্র সরকারের হৃদয়বিদারক গল্প
			
				
					মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের গিলন্ড গ্রামের দরিদ্র অটোচালক অনিল চন্দ্র সরকারের পরিবারে আনন্দের সাথে এখন মিশে আছে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ। কারণ, পরিবারের বড় মেয়ে নন্দিনী রানী সরকার ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও তার পড়াশোনার খরচ মেটানো অনিলের মতো একজন দিনমজুর বাবার পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা দারিদ্র্য
নন্দিনী রানী সরকার, যিনি ছোটবেলা থেকেই ছিলেন অসাধারণ মেধাবী, এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ১৩৩ তম স্থান অর্জন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তার এই সফলতা শুধু তার পরিবারের জন্য নয়, পুরো গ্রামের জন্য গর্বের বিষয়। কিন্তু এই আনন্দের সাথে এসেছে টানাপোড়েনের এক করুণ গল্প।
অনিল চন্দ্র সরকার জীবিকার জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালান। ছোট্ট ভিটেবাড়ি ছাড়া কোনো আবাদি জমি নেই তার। দৈনিক আয়ে কোনোভাবে পরিবারের খরচ চালালেও মেয়ের মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনার খরচ তার জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ।
অসাধারণ মেধাবী নন্দিনীর অর্জন
নন্দিনী পড়াশোনায় বরাবরই ছিলেন উজ্জ্বল। স্থানীয় গিলন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনীতে জিপিএ-৫, কানিজ ফাতেমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জেএসসি-তে জিপিএ-৪.৪৬, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ধারাবাহিকভাবে জিপিএ-৫ পেয়ে নিজের মেধার প্রমাণ রেখেছেন। তার এই ধারাবাহিক সাফল্য তাকে ঢাকার সেরা মেডিকেল কলেজে স্থান করে দিয়েছে।
পরিবারের সংগ্রাম
নন্দিনীর বাবা-মা প্রতিদিন এক অজানা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। দরিদ্র পরিবারের জন্য মেডিকেল ভর্তির প্রাথমিক খরচই একটি বড় বাধা, এরপর রয়েছে দীর্ঘ পাঁচ বছরের পড়াশোনার বিপুল খরচ। ছোট বোন বিনা রানী সরকারও একইভাবে মেধাবী, যিনি এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। দুই মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে অনিলের পক্ষে সম্ভব নয়।
স্কুলের ভূমিকা ও গর্ব
নন্দিনীর স্কুলের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুল হালিম বলেন, "নন্দিনী আমাদের স্কুল ও কলেজের গর্ব। তার অসাধারণ মেধা ও অধ্যবসায় তাকে এই অবস্থানে এনেছে। আমরা স্কুল থেকে তার পড়াশোনায় সবসময় সহযোগিতা করেছি এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকার চেষ্টা করব।"
দরিদ্র বাবার আর্তি: পাশে দাঁড়ান
অনিল চন্দ্র সরকার মেয়ের স্বপ্ন পূরণে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন। "মেয়েটা অনেক কষ্ট করে এতদূর এসেছে। আমি তার স্বপ্ন ভেঙে যেতে দিতে চাই না," বলেছেন তিনি।
নন্দিনীর অনুপ্রেরণা
নন্দিনী বলেছেন, "আমার বাবা-মায়ের কষ্ট আমাকে সবসময় শক্তি জোগায়। আমি ডাক্তার হয়ে তাদের সব কষ্টের প্রতিদান দিতে চাই।"
সমাজের সহযোগিতা কাম্য
নন্দিনীর পরিবার আশা করছে, সমাজের উদার মনের মানুষেরা তাদের পাশে দাঁড়াবে। যদি সহযোগিতা পাওয়া যায়, তবে এই মেধাবী মেয়ে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবেন।
এই মেধাবী মেয়ের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসুন। তার একটুখানি স্বপ্ন পূরণে আপনার সাহায্য হতে পারে অসীম শক্তি।
					
					
					
					
					
					
    
					
					
			
					
					
					
					
					
					
					
				
				
				
				No comments found
							
		
				


















