close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
দেশের বিভিন্ন স্থানে মেয়েদের ফুটবল ম্যাচে বাধা দেওয়ার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নারীদের অধিকার রক্ষায় সরকার কোনো ধরনের বৈষম্য বা নিপীড়ন সহ্য করবে না বলে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
নারীদের অধিকার লঙ্ঘনে কঠোর ব্যবস্থা
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু মহল বাধা দিয়েছে, যা সরকারের দৃষ্টিতে নিন্দনীয়। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের নারীরা পুরুষদের মতোই সমান নাগরিক ও মানবিক অধিকার ভোগ করে, এবং কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তি নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করতে পারবে না।
সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, কেউ যদি নারীদের অধিকার খর্ব করতে চায় বা বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপ করে, তাহলে তাকে প্রচলিত আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
ফুটবল ম্যাচে বাধা ও সরকারের পদক্ষেপ
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নারীদের ফুটবল ম্যাচ বাতিল করা হয়, যখন মাঠে থাকা টিনের বেড়া ভাঙচুর করা হয়। ঠিক একইভাবে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বাউনা গ্রামেও নারীদের একটি ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনাগুলো নিয়ে সরকার যথেষ্ট উদ্বিগ্ন এবং ইতোমধ্যেই দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে বন্ধ হওয়া ফুটবল ম্যাচ পুনরায় আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নারীদের জন্য ক্রীড়া আয়োজন অব্যাহত থাকবে
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নারী খেলোয়াড়দের জন্য ফুটবল, ক্রিকেট ও কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে এবং সেগুলোতে বিপুলসংখ্যক দর্শক উপস্থিত থাকছেন। প্রশাসনের উদ্যোগে এসব আয়োজনকে আরও বিস্তৃত করা হবে, যাতে নারীরা অবাধে খেলাধুলায় অংশ নিতে পারেন।
অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে নারীর অগ্রগতি
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষে কাজ করে এসেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা নারীদের হাতে।
সম্প্রতি অধ্যাপক ইউনূস ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
সরকারের কঠোর বার্তা: নারীর অগ্রগতিতে বাধা মানা হবে না
অন্তর্বর্তী সরকার স্পষ্ট করেছে, নারীদের বিরুদ্ধে কোনো বৈষম্য বা নিপীড়নের চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীরা যাতে অবাধে খেলাধুলায় অংশ নিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এই কঠোর অবস্থানের মাধ্যমে সরকার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—নারীদের খেলাধুলা কিংবা অধিকার খর্ব করার কোনো প্রচেষ্টাই সফল হবে না, বরং যেকোনো বাধা দূর করে নারীদের অগ্রগতির পথ আরও মসৃণ করা হবে।
Nema komentara