মবের চাপে স্থগিত দোকান উদ্বোধন, পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি – বিতর্কে উত্তাল চলচ্চিত্র


প্রসাধনীর দোকান উদ্বোধনে বাধা
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এক প্রসাধনীর দোকান উদ্বোধনের কথা ছিল জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনির। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রবল প্রতিবাদের মুখে সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। ঘটনার পরদিনই আদালত পরীমনির বিরুদ্ধে পুরনো এক মামলায় হাজিরা না দেওয়ার কারণে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ ঘটনাটি চলচ্চিত্র জগতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকে বিষয়টিকে কাকতালীয় বললেও অনেকে এতে গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন।
নির্মাতা আশফাক নিপুণের প্রতিক্রিয়া
চলচ্চিত্র নির্মাতা আশফাক নিপুণ ঘটনাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে ফেসবুকে তুলে ধরেন। তিনি এই প্রতিবাদকে সরাসরি ‘মব’-এর চাপ হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, এই ধরনের পরিস্থিতি সমাজে অস্থিরতা তৈরি করছে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “মবের প্রতিবাদের মুখে পরীমনির দোকান উদ্বোধন করতে না পারার ঘটনা এবং এর ঠিক পরপরই তার বিরুদ্ধে পুরনো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি – এটি কতটা কাকতালীয়?”
অকাকতালীয় ঘটনাগুলোর তুলনা
নিপুণ আরও লেখেন, “সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা জামিনে বের হয়ে ত্রাস সৃষ্টি করছে। আদিবাসীদের উপর হামলা বা নারী অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে মবের প্রতিবাদ – এগুলো আর কাকতালীয় মনে হয় না। এই ধরনের পরিস্থিতি থামাতে সরকারকে কঠোর হতে হবে। জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন জরুরি।”
জনগণের প্রশ্ন এবং সরকারের ভূমিকা
নিপুণ তাঁর পোস্টের শেষাংশে সরকারকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি লেখেন, “কাকতালীয় ঘটনা একের পর এক ঘটতে থাকলে জনমনে সরকার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। মব ঠেকান, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন। না হলে পায়ের নিচের মাটি সরে যাওয়াও কাকতালীয় হবে না।”
চলচ্চিত্র অঙ্গনের প্রতিক্রিয়া
চলচ্চিত্র জগতে এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। অনেকেই মনে করছেন, পরীমনির উপর এমন চাপ সৃষ্টির পেছনে রয়েছে সুপরিকল্পিত কোনো উদ্দেশ্য। তবে এ বিষয়ে এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পরীমনির অবস্থান
পরীমনি এখনো বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, এই ঘটনাগুলো তাঁকে ভীষণভাবে আহত করেছে।
শেষ কথা
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে কি একজন শিল্পীকে এভাবে হেনস্তা করা উচিত? ঘটনাটি কাকতালীয় নাকি এর পেছনে আছে গভীর কোনো ষড়যন্ত্র – সেই উত্তরই এখন খুঁজছে দেশবাসী।
Ingen kommentarer fundet