close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

মব জাস্টিস কি এবং কেনো সংগঠিত হয়?

(এস.এম আল আমিন হোসেন) স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা  avatar   
(এস.এম আল আমিন হোসেন) স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা
মব জাস্টিস কি এবং মব জাস্টিস কেনো সংগঠিত হয়?

স্টিস" (Mob Justice) শব্দটির অর্থ হলো — যখন কোনো জনতা বা ভিড় কাউকে অপরাধী মনে করে এবং আইন বা বিচার ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে তাকে শাস্তি দেয়। এটি সাধারণত হিংসাত্মক হয় এবং অনেক সময় নির্দোষ মানুষও এর শিকার হন।

উদাহরণ:

ধরা যাক, কোনো গ্রামে চোর সন্দেহে একজনকে ধরে স্থানীয় জনগণ মারধর করে বা মেরে ফেলে — এটিই মব জাস্টিস।

কেন এটা সমস্যার:

আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ হয় না — নিরপেক্ষ তদন্ত বা বিচার হয় না।

নির্দোষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে।

সহিংসতা বাড়ে এবং আইনশৃঙ্খলা নষ্ট হয়।

সমাজে ভয় ও অস্থিরতা তৈরি করে।

মব জাস্টিস একটি অবৈধ ও অনৈতিক কাজ। আইন ও বিচারব্যবস্থা ছাড়া কাউকে শাস্তি দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়।

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দলবদ্ধভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা বেড়েছে। এসব ঘটনা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ পত্রপত্রিকায় ‘মব’ ও ‘মব জাস্টিস’ শব্দ দুটি আলোচনায় রয়েছে। ইংরেজি শব্দ ‘মব’-এর অর্থ ‘উচ্ছৃঙ্খল জনতা’। আর সরল ভাষায়, এই বিশৃঙ্খল জনতা নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে সহিংসতা করলে তাকে ‘মব জাস্টিস’ বা ‘উচ্ছৃঙ্খল জনতার বিচার’ বলে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার-সংক্রান্ত বৈশ্বিক ঘোষণা অনুযায়ী, মব জাস্টিসের কারণে মানবাধিকারের বড় লঙ্ঘন হয়। একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ট্রাইব্যুনালের অধীনে সবার সমতার ভিত্তিতে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তির অধিকার, তাঁকে যেন নিরপরাধ বলে বিবেচনা করা হয়। একই সঙ্গে বিচারের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তির আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকতে হবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার-সংক্রান্ত বৈশ্বিক ঘোষণা অনুযায়ী, মব জাস্টিসের কারণে মানবাধিকারের বড় লঙ্ঘন হয়। ঘোষণার ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ট্রাইব্যুনালের অধীনে সবার সমতার ভিত্তিতে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আর ঘোষণার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগপর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তির অধিকার—তাঁকে যেন নিরপরাধ বলে বিবেচনা করা হয়। একই সঙ্গে বিচারের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তির আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) হিসাবে, গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সাত মাসে গণপিটুনিতে অন্তত ১১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৪ জন। আর গত ১০ বছরে গণপিটুনিতে মোট ৭৯২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে ২০২৪ সালে। গত বছর এ ধরনের ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন।

לא נמצאו הערות


News Card Generator