close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

মাতুয়াইলে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা: স্বামী-স্ত্রী নিহত, মেয়ে আশঙ্কাজনক

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজধানীর মাতুয়াইলে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা। দ্রুতগামী একটি পিকআপভ্যানের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন, আর তাদের কিশোরী মেয়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাত
রাজধানীর মাতুয়াইলে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা। দ্রুতগামী একটি পিকআপভ্যানের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন, আর তাদের কিশোরী মেয়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। দুর্ঘটনার বিবরণ সোমবার সকাল ৭টার দিকে মাতুয়াইল সাদ্দাম মার্কেটের বিপরীতে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন আব্দুল জব্বার (৫২) ও তার স্ত্রী রুমা খানম ওরফে রুনা আক্তার (৪০)। তাদের মেয়ে জুঁই আক্তার (১৪) মারাত্মক আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? নিহতদের স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, তারা জামালপুরের ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে রাজধানীর ডেমরা কোনাপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। সোমবার সকালে তাদের এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস—রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগামী পিকআপভ্যান তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রুনা আক্তার। গুরুতর আহত আব্দুল জব্বারকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান। পুলিশের বক্তব্য ও তদন্ত ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। যাত্রাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক মো: মাহমুদুল হাসান ইরফান জানান, দুর্ঘটনার পর পরই পিকআপভ্যানটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চালকের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শোকের ছায়া পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। প্রতিবেশীরা জানান, জব্বার ও রুনা ছিলেন শান্ত স্বভাবের এবং পরিবার-পরিজনকে নিয়ে সুখী জীবনযাপন করতেন। তাদের মেয়ে জুঁই এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। চিকিৎসকরা তার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় এই ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন: যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। রাস্তা পারাপারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। শেষ কথা একটি দুর্ঘটনা মুহূর্তেই একটি পরিবারের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিতে পারে। এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং আহত জুঁই আক্তারের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
没有找到评论