দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় একটি মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মাওলানা খোকন সাহেব। তিনি সুন্নি মতাদর্শ অনুসরণ করতেন, যা মসজিদ পরিচালনা কমিটির অধিকাংশ সদস্যের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গেও মিল ছিল। তবে স্থানীয় কিছু ভিন্ন মতাদর্শের লোকজন দীর্ঘদিন ধরেই তাকে মসজিদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল।
এই দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চ একটি বড় সমাবেশে অংশগ্রহণের পরদিন, ২৭ মার্চ সকালে তাকে এক দোকানে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে তাকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়।
পরে পুলিশের সহায়তায় তার বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ তুলে গ্রেফতার দেখানো হয়। ঘটনার সময় ইমামের স্ত্রী, বোন, ভাগ্নে ও বৃদ্ধা মাকে পর্যন্ত লাঞ্ছিত করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।
পুলিশ হেফাজতে তার ওপর পুনরায় নির্যাতন চালানো হয় এবং চিকিৎসার কোনো সুব্যবস্থা না করে দুপুর ৩টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যুর খবর আসে।
সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হলো, মামলা দায়ের করা হয় বিকাল তিনটায়, অথচ তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয় দুপুর ১২টার দিকে। এছাড়া অভিযোগ করা হয় যে, ঘটনার মূল ভিত্তি ছিল ১ মার্চের এক কলেজছাত্রের অভিযোগ, যা দুই মাস আগের ঘটনা—কিন্তু নির্যাতন ও গ্রেফতার ঘটেছে সমাবেশের ঠিক পরদিন।
স্থানীয়দের দাবি: এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড
স্থানীয় ১৫-১৬ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইমাম সাহেবের জনপ্রিয়তা ও সুন্নি মতাদর্শের অবস্থান তাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল। মসজিদ কমিটি তার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় প্রতিপক্ষের ক্ষোভ আরও তীব্র হয়।
এই ঘটনার পেছনে একটি সুসংগঠিত ও পূর্বপরিকল্পিত চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই। এমন একটি ঘটনা ধর্মীয় সহনশীলতা ও আইনের শাসনের প্রশ্নে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছে।
সংবাদটিকে আরও শক্তিশালী করতে হলে:
-
ইমামের মৃত্যুর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সংযুক্ত করা যেতে পারে।
-
পুলিশের বক্তব্য বা সংশ্লিষ্টদের প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করলে ভারসাম্য বজায় থাকবে।
-
স্বচ্ছ তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানুষের প্রতিক্রিয়া বা আন্দোলনের খবর থাকলে তা উল্লেখ করা যেতে পারে।



















